৩ লাখ ৬০ হাজার শিশুকে সাঁতার শেখাবে সরকার, ব্যয় ২৭১ কোটি টাকা

সাঁতার

দেশের দুই লাখ শিশুর জন্য আট হাজার সমাজভিত্তিক শিশু-যত্ন কেন্দ্র স্থাপনসহ ১৬০০ স্থানে ৩ লাখ ৬০ হাজার শিশুকে সাঁতার শেখাবে সরকার। 

রোববার (১২ জুন) দুপুরে ঢাকা হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে শিশুদের সমন্বিত ইসিডি সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ২৭১ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশু-যত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে শিশুদের প্রারম্ভিক বিকাশ ও সুরক্ষা এবং সাঁতার সুবিধা প্রদান’ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।  

প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ২৭১ কোটি ৬১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। এর মধ্যে ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রোপিজ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রয়্যাল ন্যাশনাল লাইফবোট ইনস্টিটিউট, যুক্তরাজ্যের অনুদান ৫৪ কোটি ২০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা। বাকি ২১৭ কোটি ৬১ লাখ ৮৪ হাজার টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হবে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে প্রকল্পটি শতভাগ বাস্তবায়িত হবে।

আরও পড়ুন: সেই ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মালিক এখন ভারতীয়

প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, সুষ্ঠু শারীরিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিক ও আবেগীয় বিকাশের জন্য শিশুদের জীবনের প্রথম আট বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ সময়ে শিশুর শিক্ষা ও বিকাশের ভিত্তি রচিত হয়। গর্ভাবস্থা থেকেই মা ও শিশুর পুষ্টি নিশ্চিত করতে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি চালু করেছে। সমাজভিত্তিক সমন্বিত শিশু যত্ন কেন্দ্রের মাধ্যমে ৫ লাখ ৬০ হাজার শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ, সুরক্ষা ও সাঁতার সুবিধা দেওয়া হবে।

প্রকল্পের পটভূমি থেকে জানা গেছে, শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ, শিক্ষা এবং যত্ন নিশ্চিত করার মাধ্যমে সার্বিক বিকাশ, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা এবং মৃত্যুঝুঁকি কমিয়ে আনাই সরকারের মূল উদ্দেশ্য। এ প্রকল্পের আওতায় ৮ হাজারটি শিশু যত্ন কেন্দ্র পরিচালনার পাশাপাশি ৬২৪ জন প্রশিক্ষক, ১৬ হাজার যত্নকারী এবং ১ হাজার ৬০০ জন সাঁতার ইনস্ট্রাক্টরকে মৌলিক ও রিফ্রেশার্স প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ১৯ হাজার ২০০ জন অভিভাবকের সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর বাইরেও প্রকল্প কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় পর্যায়ের ৪৬০ জন সদস্যকে প্রশিক্ষণ বা ওরিয়েন্টেশন দেওয়া হবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বৈদেশিক প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে বলে প্রকল্প প্রস্তাবনায় উল্লেখ রয়েছে।