মোবাইল হারিয়ে গেলে দ্রুত যেসব কাজ করবেন

মোবাইল

যেকোনো সময় আমাদের ফোন হারিয়ে যেতে পারে। চুরি বা ছিনতাইয়ের মতো অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটতে পারে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে অনেক সময় ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়। যেমন: চুরি বা ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনটি কখনো কখনো অপরাধমূলক কাজে ব্যবহৃত হতে পারে। সে ক্ষেত্রে মোবাইল ও সিমের রেজিস্ট্রি মতে এর প্রকৃত মালিক গ্রেপ্তার বা হয়রানির স্বীকার হতে পারেন। তাই ফোন হারিয়ে গেলে যা করতে হবে জেনে নিন এখনই।

১। প্রথমেই হারিয়ে যাওয়া ফোনে কল করুন। লক্ষ্য করুন কেউ ফোনটা ধরছে কিনা। কেউ যদি ধরে, তাহলে তার সঙ্গে কথা বলে ফোনটা কোথায় রয়েছে, সেখান থেকে নিয়ে আসুন। 

২। কিন্তু যদি না ধরে, তাহলে কী করবেন? প্রথমেই আপনার সিম ব্লক করুন। ফোন হারিয়ে গেলে আপনার টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারকেও ফোন করুন। তারপর একটি অভিযোগ দায়ের করে অল্প সময়ের জন্য আউট গোয়িং সার্ভিস ব্লক করুন। 

৩। এরপর ফোনটি লোকেট করার জন্য অ্যান্ড্রয়েডের ফাইন্ড মাই ডিভাইস ব্যবহার করুন। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে থাকে বিল্ড-ইন ফাইন্ড মাই মোবাইল সার্ভিস। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা গুগল অ্যাকাউন্টে লিঙ্ক করে রাখা হারিয়ে যাওয়া ফোনটি লোকেট করতে পারেন।

অ্যান্ড্রয়েড ৮ বা তার বেশি ভার্সনের সব ফোনেই এই ফাইন্ড মাই ডিভাইস সেবাটি রয়েছে। বেশির ভাগ ফোনেই এই ফিচারটি ডিফল্ট থাকে। তাও ফিচারটি আদৌ রয়েছে কি না, তা যাচাই করে নেওয়া উচিৎ। 

এছাড়াও ব্যবহারকারীকে ফোনের গুগল অ্যাকাউন্টে লগ ইন করে রাখতে হবে এবং লোকেশন সার্ভিসও অন করে রাখতে হবে। স্যামসাং-এর ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা। কারণ, প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব ফাইন্ড মাই মোবাইল ফিচার রয়েছে। 

আরও পড়ুন: গরু-ভেড়া ঢেকুর তুললে দিতে হবে কর!

৪। ফোনটা লক করুন এবং একটি মেসেজ সেন্ড করুন। ফাইন্ড মাই ডিভাইস টুল ফিচারটি ব্যবহারকারীদের হারিয়ে যাওয়া ফোন লকও করে রাখতে দেয়। শুধু তাই নয়। একটি মেসেজও করার সুযোগ দেয়। এই ফিচার ব্যবহার করে আপনি অন্য মানুষজনকে জানাতে পারবেন যে, এই ফোনটি আসলে আপনারই।

৫। ফোনের সব ডাটা মুছে ফেলুন। সবকিছু করার পর আপনি যদি নিশ্চিত হয়ে যান, ফোন চুরি বা হারিয়ে গেছে, তাহলে ফাইন্ড মাই ডিভাইস টুল থেকে সব ডেটা মুছে ফেলুন। 

৬। গুগল ম্যাপস টাইমলাইন ফিচারটির মাধ্যমে আপনার ফোনটি যেসব লোকেশনে ছিল, যাচাই করে নিন। গুগল ম্যাপস ব্যবহার করে আপনার ফোনের শেষ লোকেশনটাও চেক করে নিতে পারেন। এর সাহায্যে আপনি ফোনটা ট্র্যাক করতে পারবেন। 

৭। পরবর্তীতে একটা এফআইআর দায়ের করুন। ফোন আপনি যখনই ব্লক করলেন, তখনই একটা এফআইআর দায়ের করে রাখুন। এর ফলে আপনিই নিরাপদে থাকবেন।