ছাত্রলীগের হামলায় আহত ঢাবি ছাত্রদলের সদস্য মানসূরা

জাবি
মানসুরা আলম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রদলের ওপর হামলা ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। হামলায় ছাত্রদলের প্রায় ৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে ও আহতদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর বলে দাবি করেছে ছাত্রদল। ছাত্রলীগের এ হামলায় আহত হয়েছেন ছাত্রদলের ঢাবি শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মানসূরা আলম। 

জানা গেছে, শহীদ মিনার এলাকায় হামলার শিকার হয়েছেন তিনি। সেখান থেকে অন্য নেতাকর্মীরা তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। হাতে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন তিনি। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। 

এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রদলের অন্তত ৪০ জন নেতাকর্মীদের আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে সংগঠনটি। মঙ্গলবার (২৪ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে হামলার শিকার হন তারা।

ছাত্রদলের সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান জানান, প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করে ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেছে। যেই বক্তব্যকে ভিত্তি করে এই অভিযোগ সে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে সংবাদ সম্মেলন করার জন্য করতে ছাত্রদল ঢাকা মেডিক্যালের ইমার্জেন্সি গেইট থেকে ক্যাম্পাসের দিকে আসছিলো। শহীদ মিনারে সামনে এলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা রামধা, ক্রিজ, হকি স্টিক, রড নিয়ে ছাত্রদলের ওপর অতর্কিত হামলা করেন।

আহতদের মধ্যে রয়েছেন- ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি রাশেদ ইকবাল খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসার মোহাম্মদ ইয়াহিয়া, সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, ঢাবি শাখার যুগ্ম-আহবায়ক এজাজুল কবির জুয়েল, জগন্নাথ হলের সাবেক আহ্বায়ক ও ঢাবি শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সজীব মজুমদারসহ ৪০ জন নেতাকর্মী আহত হন বলে দাবি করেন এ নেতা। আহতরা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে তিনি জানান। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শহীদ মিনার, টিএসসির সড়ক দ্বীপ, টিএসসির প্রবেশ পথ, মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা অবস্থান করছেন। শহীদুল্লাহ হলের  ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা রড ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ক্যাম্পাসে মহড়া দিচ্ছে। ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদল মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারের সামনে এলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হামলা শুরু করে। এরপর শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, চলে ইট পাটকেল ছোড়াছুড়ি। একপর্যায়ে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে এবং সংঘর্ষ থেমে যায়। 

এ ব্যাপারে ঢাবি ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন জানান, ছাত্রদল সংগঠনটি রাজাকারদের ডিস্ট্রিবিউটর, সন্ত্রাসের ডিস্ট্রিবিউটর। তারা সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীর মাঝে ভীতি ছড়াচ্ছে ও স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম থাকবে কিনা সেই আশংকা করছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক ও সুষ্ঠু পরিবেশের স্বার্থে ওদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াচ্ছে।