রাবিতে ছাত্রলীগের হামলায় পালাল ছাত্রদল

হামলায় আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে
হামলায় আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ ওঠেছে। এ হামলা প্রতিহত করতে না পেরে ছাত্রদলের নেতারা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে পালিয়ে গিয়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেন। ​সোমবার (২৩ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বর সংলগ্ন ছাত্রদলের দলীয় টেন্টে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহতদের মধ্যে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাকির রেজোয়ান ও যুগ্ম আহ্ববায়ক এমএ তাহের রহমান।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাদের নিজেদের দলীয় টেন্টে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখার সভাপতি কাবিরুজ্জামান রুহুল এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল শাখার সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শাকিলসহ তাদের সঙ্গে থাকা ১০ থেকে ১২ জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেন। এ সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রতিহত করতে না পেরে দ্রুত পালিয়ে যান।

হামলার বিষয়ে ছাত্রদলের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে তাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে।

আরও পড়ুন: ঢাবিতে ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলা

এতে আমাদের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর আহত হয়েছেন দুইজন। তারা বর্তমানে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সুলতান আহমেদ রাহী আরও বলেন, ‘ছাত্রলীগ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। আমরা এই সংগঠন নিষিদ্ধের দাবি জানাচ্ছি। আর এই হামলার ঘটনায় আমাদের প্রতিবাদ কর্মসূচির বিষয়ে পরবর্তীতে জানিয়ে দেয়া হবে।’

ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিররিয়া দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা আমাদের নেতাকর্মীদের জানিয়ে দিয়েছি ক্যাম্পাসে যেখানেই ছাত্রদল-ছাত্রশিবির দেখা যাবে সেখানেই গণধোলাই দিতে হবে। তারা যদি ক্যাম্পসের পরিবেশে বিশৃঙ্খলা করতে চায় আমরা তাদের প্রতিহত করবো।

এবিষয়ে জানতে চইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসহাবুল হক বলেন, ক্যাম্পাসে কোন শিক্ষার্থী কোন শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলার এখতিয়ার রাখে না। এ ঘটনার প্রেক্ষাপট আমি এখনও জানি না। খোঁজ নেয়ার চেষ্টা করছি।