প্রশ্নফাঁসে গ্রেপ্তার আসামির ৯৮ শতাংশই খালাস পেয়েছেন

পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস
চাকরিসহ পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস হয়েছে

চাকরিসহ পাবলিক পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসসহ বিভিন্ন অপরাধে গ্রেপ্তার ৯৮ শতাংশ আসামিই ছাড়া পেয়ে গেছেন। ১৩ বছরে দায়ের করা ২০০ মামলার মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে মাত্র ৪৫টির। মাত্র একটিতে অপরাধী সাজা পেয়েছেন।রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, এজাহারে ত্রুটি, তদন্তে দুর্বলতা ও আইনের সংজ্ঞার জাটিলতায় অপরাধ প্রমাণিত হচ্ছে না।

একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, পাবলিক পরীক্ষা নিয়ে অপরাধ দিন দিন বাড়ছেই। প্রশ্নপত্র ফাঁস থেকে শুরু করে নানা অপরাধে জড়াচ্ছে পরীক্ষার্থীরাসহ কিছু চক্র। এসব ঘটনায় গত ১৩ বছরে রাজধানীতে মামলা হয়েছে অন্তত ২০০টি। বোর্ড পরীক্ষা ছাড়াও নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ নানা অভিযোগ আনা হয়েছে।

তবে এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে মাত্র ৪৫টির। একটি মামলায় অপরাধীর সাজা হলেও বাকি আসামিরা পেয়েছেন খালাস। ৯৮ শতাংশ মামলাই টিকতে পারেনি। 

এ নিয়ে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক এ কে এম শহিদুল হক ওই টেলিভিশনকে বলেন, এ ধরনের মামলায় আরো তৎপর হতে হবে পুলিশকে। তদন্ত ও এজহার লেখার সময় দায়ত্বশীল হতে হবে।

আরো পড়ুন: মাউশির নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল

তবে ডিএমপি বলছে, এজাহার বা তদন্তে দুর্বলতা নয়, আইনের ত্রুটির কারণেই আদালতে টিকছে না মামলা। পাবলিক পরীক্ষার সংজ্ঞার মধ্যে নিয়োগ পরীক্ষাসহ সংশ্লিষ্ট অপরাধ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হেয়েছে, ২০০ মামলার মধ্যে ৪৫টি নিষ্পত্তি হলেও ৯৮টির সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। এ ছাড়া ১৫টি অভিযোগ গঠন পর্যায়ে আছে।