আলেমদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশ সংবিধান বিরোধী

ইসলামী ছাত্র আন্দোলন
ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের লোগো

কওমী মাদরাসা ইসলাম প্রচার ও সামাজিক পুঁজি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে আজ এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে আপোষহীন সংগ্রাম অব্যহত রেখেছে। যার ফলে দেশবিরোধী একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে এই শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের পায়তারা করছে। যারই অংশ হিসেবে গণকমিশন নামীয় সংগঠন  মাদরাসার তালিকা করে গণমানুষের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৭ মে) ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি নূরুল করীম আকরাম ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মুহাম্মাদ আল-আমিন এক যৌথ বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতীয় উপমহাদেশে মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা হাজার বছর ধরে চলমান স্বীকৃত একটি শিক্ষাব্যবস্থা। এই শিক্ষাব্যবস্থায় একজন শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার পাশাপাশি দেশপ্রেম, সৃষ্টির সেবা, সবর, শোকর, আত্মীক গঠন, ইনসাফ, ন্যায়পরায়ণতা, উম্মাহবোধ, উত্তম চরিত্র গঠনসহ বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষা দেয়া হয়ে থাকে। এই শিক্ষাব্যবস্থায় পড়াশোনা শেষ করা আলেমগণ বছরজুড়ে দেশের প্রতিটি প্রান্তে সাধারণ মানুষকে ওয়াজ-নসীহতের মাধ্যমে পরকীয়া, ধর্ষণ, নারীবিদ্বেষ, নারী নির্যাতন, দুর্নীতিসহ নানাবিধ অপরাধ নির্মূল করতে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। 

আরও পড়ুন: বাজেটে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কত বরাদ্দ?

নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশের সর্বস্তরের মানুষের উদ্যোগ-আয়োজন, উৎসাহ, আগ্রহ ও ভালোবাসাকে ধর্মব্যবসা বলে অবহিত করা দেশের জনসাধারণের সাথে ধৃষ্টতা ছাড়া কিছুই নয়। তাদের এই শ্বেতপত্র প্রকাশ সংবিধান বিরোধী। নাগরিকের মৌলিক অধিকারের স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লেখিত মানবিক মর্যাদা নীতির প্রতি অশ্রদ্ধা। এই কমিশনের তদন্ত ও আলেমদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্রের নৈতিক ও আইনত কোন ভিত্তি নেই। দেশবিরোধী এই গণকমিশনের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান। নতুবা দেশের সচেতন শিক্ষার্থীবৃন্দ এসব সংগঠনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে নেতৃবৃন্দ হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।