‘গুচ্ছ ভর্তিতে এসএসসি পাসের সাল বিবেচনায় আনতে চাই না’

ইমপ্রুভমেন্ট
প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এবং অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন

২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় এসএসসি পাসের সাল বিবেচনায় আনতে চাই না। কেবলমাত্র এইচএসসি পাসের সাল বিবেচনায় আনতে চাই। তবে এটি একান্তই আমার ব্যক্তিগত মতামত।

মঙ্গলবার (১৭ মে) দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস আয়োজিত এক লাইভ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন। 

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের স্টাফ রিপোর্টার শিহাব উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসেন এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার।

যবিপ্রবির উপাচার্য বলেন, গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আমাদের যে সভা হয়েছে সেখানে ইন্টারমিডিয়েট (এইচএসসি) নিয়ে কথা হয়েছে। সেখানে মাধ্যমিক নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। আমি বিশ্বাস করি আমাদের মাথা ব্যাথা হবে ইন্টারমিডিয়েট নিয়ে। অর্থাৎ এ বছর যারা এইচএসসি পাস করেছে তাদের পূর্ববর্তী বছরের শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ পাবে। এসএসসি পাস করা নিয়ে আমাদের মাথা নেই। মাথা ব্যাথা থাকাও উচিত না।

তিনি আরও বলেন, আমরা এখনো এটা ক্লিয়ার করিনি যে এসএসসি কোন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ পাবে। পরবর্তী সভায় আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো। আমি বিশ্বাস করি ২০২০ সালে যারা ইমপ্রুভমেন্ট দিয়েছে তারা ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ পাবে। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। 

আরও পড়ুন: আগামী বছর থেকে চবির ভর্তি পরীক্ষা বিভাগীয় শহরে

অনুষ্ঠানে চবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ রাখা প্রসঙ্গে প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের বিভাগীয় পর্যায়ে পরীক্ষা আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। বিষয়টি আমরা আমাদের ডিনদের জানিয়েছি। তারা বলেছেন এ বছর সময় কম। সেজন্য এ বছর থেকে বিভাগীয় পর্যায়ে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা হবে না। তবে আমরা আগামী বছর থেকে বিভাগীয় পর্যায়েই ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করব। এটি অনেকটাই নিশ্চিত।

তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ দিতে চাই। তবে এটি আমার একার সিদ্ধান্ত না। আমাদের ডিনস কমিটি আছে, একাডেমিক কাউন্সিল আছে। সবার সাথে আলোচনা করেই আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আগামীকাল (বুধবার) আমাদের কোর কমিটির একটি সভা রয়েছে। ওই সভায় আমি সকলকে অনুরোধ করবো যেন তারা সেকন্ডে টাইম ভর্তি পরীক্ষার সুযো দেয়।