ঢাবির নীল দলের মনোনয়ন পেলেন যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত দুই শিক্ষক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুই শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচনের প্যানেলে মনোনয়ন দিয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল। 

অভিযুক্ত ওই দুই শিক্ষক হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস (এমআইএস) বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. আকরাম হোসেন। 

বৃহস্পতিবার (১২ মে) নির্বাচনের প্যানেল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে নীল দল ও বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল তাদের ৩৫ সদস্যের মনোনীত প্যানেল রেজিস্টার কার্যালয়ের নির্বাচন শাখায় জমা দিয়েছে। 

চলতি মাসের ২৪ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটে ৩৫ জন শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ১৬ মে প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ তারিখ। এর মধ্যে কোনো  দল চাইলে তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে পারবে। নীল দলের শিক্ষক প্যানেলের ৩৫ সদস্যের মধ্যে ওই দুই জনের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের অভিযোগ রয়েছে।

সম্প্রতি অধ্যাপক মো. আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নিকট চিঠি দিয়েছিলেন ওই বিভাগের (এমআইএস) এক সাবেক ও প্রভাষক পদপ্রার্থী এক শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, ২০১৮ সালে শিক্ষক নিয়োগের আগে বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক আকরাম তাকে ‘অনৈতিক’ ও ঘৃণ্য প্রস্তাব দেন। তিনি রাজি না হলে তখন তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

এদিকে গত বছরের ২২ নভেম্বর অধ্যাপক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চের (নিটার) নারী সহকর্মীদের হেনস্তা ও যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছিল। এ নিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের ৩৭ জন শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। এর মধ্যে যৌন হয়রানির শিকার নারীদের মধ্যে দুইজন লিখিতভাবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছিলেন।

নীল দলের সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রহিম বলেন, দলের প্রতি ওনাদের প্রতিশ্রুতি ও আনুগত্য বিবেচনায় সর্বসম্মতিক্রমে তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। যৌন হয়রানির যে অভিযোগ সে ব্যাপারে আমরাও অবগত আছি। কিন্তু সেটা কেবল অভিযোগ, প্রমানিত সত্য নয়।  বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তদন্তে অভিযোগ প্রমানিত হলে তখন তাদের অবস্থান পরিষ্কার হবে।