কতবার স্কুল পালিয়েছিলেন, হিসেব নেই মাশরাফির

মাশরাফি বিন মুর্তজা
মাশরাফি বিন মুর্তজা

মাশরাফি বিন মুর্তজা নামটা শুনেনি এরকম খুব কম মানুষই রয়েছেন। মাশরাফি একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার ও রাজনীতিবিদ। যিনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক টেস্ট, ওয়ানডেতে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ছিলেন। সম্প্রতি তিনি একটি বেসরকারি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তার জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে কথা বলেছেন।

বর্তমানে মাশরাফি নড়াইল-২ আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মাশরাফি ইএসপিএন কর্তৃক পরিচালিত ‘ওয়ার্ল্ড ফেইম ১০০’-এ বিশ্বের সেরা ১০০ জন ক্রীড়াবিদের মধ্যে অন্যতম। অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডেতে ১০০টি উইকেট নেওয়া বোলারদের মধ্যে তিনি ৫ম। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের জেলা নড়াইলে তার জন্ম।

নড়াইলে নানীর কাছেই তিনি মানুষ হয়েছেন। নানী ছিলেন প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক। নানীর সাথে প্রথম স্কুলে যাওয়ার তার। তার স্কুলের নাম নড়াইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রাথমিক শিক্ষা জীবন শেষে মাশরাফি সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেন। এরপর তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেন।

মাশরাফি কি কখনো স্কুল পালিয়েছে- উপস্থাপকের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি হেসেই দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এটা হিসেব করে বলতে পারব না; এতবার পালিয়েছি যে তার কোন হিসেব নেই। এজন্য বাসায় মারও খেতে হতো।ছোটবেলা থেকেই বাঁধাধরা পড়াশোনার পরিবর্তে ফুটবল আর ব্যাডমিন্টন খেলতেই বেশি পছন্দ করতাম। আর মাঝেমধ্যে বাসার পাশের পুকুরে সাঁতার কাটা হতো। ছোট বেলায় ছোট মামা নাহিদের কাছে তিনি সাঁতার শিখেছেন।

আরও পড়ুন: মাশরাফি: একজন যোদ্ধা, একজন নেতা

বাইক প্রিয় মাশরাফিকে সবাই খুব হাসিখুশি আর উদারচেতা মানুষ হিসেবেই জানে। তিনি বলেছেন, আমার জীবনের অন্যতম একটি প্রিয় জিনিস মোটরবাইক। প্রথম সাইকেল চালানোও মামার কাছে শিখি। বাসার সবাই এখনো সাবধানে চালানোর কথা বলেন। মামা এখনো আমার বাইকের তেল কমিয়ে রাখে; যাতে বেশি স্প্রিডে চালাতে না পারি।

নিজ শহর নড়াইলেও মাশরাফির ব্যাপক জনপ্রিয়তা। সেখানে তাকে ‘প্রিন্স অব হার্টস’ বলা হয়। জীবনসঙ্গী নিবার্চনে কোনো প্রকার ঘাত-প্রতিঘাতময় পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি তাকে। একই শহরে অবস্থিত সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজে অধ্যয়নকালে সুমনা হক সুমির সাথে তার পরিচয় হয়। দু’জনে ২০০৬ সালে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন। তাদের দু’জন সন্তান রয়েছে।

প্রথম আয় সম্পর্কে মাশরাফি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ওয়ার্ল্ড কাপ আন্ডার সেভেন্টি খেলেছিলাম। ম্যাচটিতে নাফিস ইকবাল ক্যাপ্টেন ছিলেন। টুর্নামেন্টা বাংলাদেশে হয়েছিল। ম্যাচটি খেলে প্রথম দশ হাজার টাকা পেয়েছিলাম; যা আমি আমার মায়ের হাতে দিয়েছি।

বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবেও মাশরাফি বিন মুর্তজা অনেক সাড়া ফেলেছেন। অনেক জায়গায়, অনেক প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনে দেখা যায় তাকে। প্রথম স্ট্যান্ডার ব্যাংকের বিজ্ঞাপনের মডেল হয়েছিলেন মাশরাফি। দ্বিতীয়বার একটা হেয়ার জেলের বিজ্ঞাপনে অনেক ভোগান্তির মধ্যে পড়েছিলেন যে চুক্তিপত্র ক্যান্সেল পর্যন্ত করতে চেয়েছিলেন।

বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে কাজ করার অনুভূতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মাশরাফি বলেন, বিষয়টি উপভোগ করি, অনেক মজা লাগে। নতুন নতুন এক্সপেরিয়েন্স হচ্ছে, খেলার মাঠ বাদেও আমাকে দর্শক দেখতে পারছে। সবাই ভালো বলেছে। সবার অনেক সাপোর্ট পাচ্ছি।