মাদক ও র‌্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাস তৈরি করার অঙ্গিকার বাকৃবি ছাত্রলীগের

খাঁ
সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক

সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখা ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি পদে খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ ও সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ মেহেদী হাসান মনোনীত হয়েছেন। 

নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর কোন কাজটি দিয়ে রাজনৈতিক কর্মকান্ড শুরু করবেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে নবনিযুক্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উভয়েই বলেন, বাকৃবিকে মাদক ও র‌্যাগিং মুক্ত ক্যাম্পাস তৈরি করাই হবে আমাদের প্রথম কাজ। কাজটি করা কঠিন হলেও, এর জন্য যা করা দরকার তাই করবেন বলে জানান তারা।

বাকৃবি শাখা ছাত্রলীগের নবনিযুক্ত সভাপতি খন্দকার তায়েফুর রহমান রিয়াদ বলেন, 'সবাইকে নিয়ে সুস্থ রাজনীতি চর্চার মাধ্যমে বাকৃবি ক্যাম্পাসকে দেশের মধ্যে সেরা ইউনিট হিসাবে গড়ে তুলতে যা করা দরকার সেটিই করবো। এই মুহুর্তে আমাদের চিন্তাভাবনা আগামী ২০২৩ সালের নির্বাচনকে ঘিরে। কারণ ছাত্রলীগের কোন কর্মকান্ডের কারণে দলের ইমেজ নষ্ট হলেে তার প্রভাব পড়বে নির্বাচনে। আগের কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষার্থীদের মাদক ও র‌্যাগিংয়ের মাধ্যমে তাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছিল। অনেক সময় তারা এসব সহ্য করতে না পেরে ক্যাম্পাসের বাইরেও বাসা ভাড়া নিয়ে অবস্থান করে। আমি চাই স্বপ্রণেদিত হয়ে সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতি করুক, কাউকে জোর করে রাজনীতি করানোর কোন মানে হয় না, এটি আমরা করবোও না।'

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মেহেদী হাসান বলেন, 'মাদকের ভয়াবহ ছোবল পুরো জাতিকে শঙ্কিত করে তোলে। একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি শারীরিক ও মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ায় শুধু নিজের নয়, বরং পরিবার, সমাজ এমনকি রাষ্ট্রের জন্যও বোঝা হয়ে উঠে। বাকৃবি ক্যাম্পাসে মাদক ও র‌্যাগিং এর বিরুদ্ধে আমাদের পক্ষ থেকে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হবে। মাদক গ্রহণকারী কাউকে ছাত্রলীগে রাখা হবে না। ক্যাম্পাসে মাদকদ্রব্য কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করতে যা করা দরকার তাই করবো। আমাদের অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্যাম্পাসে মাদক ও র‌্যাগিং কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশায়ারি দিয়েছেন, আমরাও সেটি এ বাকৃবি ক্যাম্পাসের জন্য মেনে চলবো।'