মুসলিম মেয়েকে বিয়ে করায় ভারতে হিন্দু যুবককে হত্যা

খাঁ
স্বামী-স্ত্রী

পরিবারের অমতে মুসলিম তরুণীকে বিয়ে করায় এক হিন্দু তরুণকে প্রকাশ্যেই পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। ওই তরুণ-তরুণী একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিল। হামলার সময়ে স্বামীকে হামলাকারীদের থেকে বাঁচাতে প্রাণপণ চেষ্টাও করেছিলেন মুসলিম ওই তরুণী।

শুক্রবার (৬ মে) সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

এর আগে, বুধবার রাতে ভারতের হায়দ্রাবাদে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ওই তরুণকে পিটিয়ে হত্যার 

একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জড়িয়ে পড়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, বাল্যকাল থেকেই বি নাগারাজু ও সৈয়দ আশরিন সুলতানা একে অপরকে ভালবাসতো। তিন মাস আগে পরিবারের অমতে গিয়ে তারা বিয়ে করেন। 

পুলিশ জানিয়েছে, পেশায় গাড়ি বিক্রয়কর্মী বি নাগারাজুকে তার মুসলিম স্ত্রীর ভাই ও আত্মীয়রা মারধর ও ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে।

পুলিশের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, অপরাধীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। তারা সবাই ওই তরুণীর আত্মীয়। পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে এ খুন করেন তারা।

সংবাদমাধ্যম আরও জানিয়েছে, মাত্র তিন মাস আগে বিয়ে করেন তারা। নাগারাজুর সঙ্গে স্কুল থেকেই সুলতানার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুই পরিবারই এই সম্পর্কের কথা জানতো। তবে ভিনধর্মের এ সম্পর্কের ঘোরতর বিরোধী ছিলেন তারা। গত ৩১ জানুয়ারি হায়দরাবাদের আর্য সমাজ মন্দিরে সুলতানাকে বিয়ে করেন নাগারাজু। বিয়ের পর সুলতানা নাম পরিবর্তন করে হন পল্লবী। মেয়ের পরিবার এ বিয়ে মেনে নিতে পারেনি।

বুধবার রাতে বাইকে করে স্ত্রীকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন নাগারাজু। এ সময় হায়দ্রাবাদের সরুরনগর তহশিলদারের কার্যালয়ের সামনে সুলতানার স্বামীর ওপর হামলা করে একদল যুবক। 

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, হামলাকারীরা লোহার রড দিয়ে নাগারাজুকে পিটিয়ে মারছে। স্বামীকে বাঁচাতে ছুটে যায় সুলতানা।

হামলাকারীদের আটকানোর চেষ্টা করেন তিনি। সুলতানা হামলাকারীদের আটকাতে গেলে ভিড়ের মধ্যে থেকে কয়েকজন তাকে বাচাতে এগিয়ে যান। কিন্তু ততক্ষণে মারা যান নাগারাজু। হামলাকারীরাও পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ছুটে আসে নাগারাজুর পরিবার। নাগারাজুর মৃত্যুর জন্য সুলতানার পরিবারকেও দায়ী করেন তারা।