৩০৩ কোটি টাকা আত্মসাত, নর্থ সাউথের ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

৩০৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নর্থ সাউথের ৫ জনের মামলা
৩০৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নর্থ সাউথের ৫ জনের মামলা

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অফ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান, ৪ সদস্য ও আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের এমডিসহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে দুদক। বৃহস্পতিবার (৫ মে) দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী ঢাকার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন।

দুদকের উপপরিচালক আরেফ সাদেক বলেন, ‘১৯৪৭ সালের ২নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে ৫ মে মামলা রুজু হয়।’

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অর্থাৎ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজ। বিশ্ববিদ্যালয় একটি দাতব্য, কল্যাণমূখী, অবাণিজ্যিক ও অলাভজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

আরও পড়ুন: নর্থ সাউথের ট্রাস্টি চেয়ারম্যানসহ ৪ সদস্যকে দুদকে তলব

অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় অর্থাৎ সরকারের সুপারিশকে পাশ কাটিয়ে বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজের কিছু সদস্যের অনুমোদনে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯ হাজার ৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমির ক্রয়মূল্য বাবদ ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা অতিরিক্ত অর্থ অপরাধজনকভাবে প্রদান বা গ্রহণ করা হয়েছে।

এতে আরো বলা হয়, আসামিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশী দাম দেখিয়ে প্রথমে বিক্রেতাকে টাকা দেন। পরে বিক্রেতার থেকে নিজেদের লোকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা নিয়ে নিজেদের নামে এফডিআর করেন। এরপর এফডিআর করা অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।

অবৈধ এ আয়ের অবস্থান গোপনের জন্য এ অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর মাধ্যমে মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধও করেন তারা। সুতরাং আসামিরা মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় তথা সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজেরা অন্যায়ভাবে লাভবান হয়েছেন বলে মন্তব্য করে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।