রাষ্ট্রপতি হতে চেয়েছিলেন মুহিত

আবুল মাল আবদুল মুহিত

একটি সফল জীবন যাপন করে গেছেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। তবু একটি ইচ্ছে তার অপূর্ণই থেকে গেছে। রাষ্ট্রপতি হওয়ার ইচ্ছে ছিল এই রাজনীতিবিদের। তবে শেষ ইচ্ছা পূরণ না হওয়ার জন্য দুঃখ নেই বলেও জানিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ১৭ মার্চ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এমনটি বলেছিলেন আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান নেতা।

ছিলেন আমলা। পেশাজীবনে শীর্ষ পদে আরোহন করেছিলেন। কাজ করেছেন নানা বিশ্ব সংস্থায়। এরপর তিন সরকারের আমলে ছিলেন অর্থমন্ত্রী। সংসদে ১২ বার বাজেট পেশ করার রেকর্ড গড়েছেন। লেখালেখি, গবেষণা, সাংগঠনিক কার্যক্রমসহ নানা ক্ষেত্রে ছিল সরব বিচরণ। সাফল্যও এসেছে সব ক্ষেত্রে। নিজেই বলেছেন, ‘জীবনের প্রাপ্তিতে আমি মহাখুশি’।

রাষ্ট্রপতি হওয়ার গুঞ্জন বিষয়ে মুহিত বলেছিলেন, ‘আমার একটা মনোবাসনা ছিল রাষ্ট্রপতি হওয়ার। কিন্তু না হওয়াতে কোনো ক্ষোভ বা দুঃখ নেই। সবকিছুই একটা নিয়মে হয়ে থাকে।’

আরও পড়ুন: ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র থেকে যেভাবে অর্থনীতির জটিল জগতে মুহিত

সিলেটে গত ১৬ মার্চ তাকে ‘গুণীশ্রেষ্ঠ সম্মাননা’ দেয় সিটি করপোরেশন। সম্মাননা অনুষ্ঠানে শৈশবের স্মৃতিচারণা করে মুহিত বলেছিলেন, ‘আমার শৈশব কেটেছে গ্রামে। গ্রামের জীবন খুব উপভোগ্য ছিল। সেখানে যে স্বাধীনতা পাওয়া যায় তা আর কখনো পাওয়া যায় না। পরে সিলেট শহরে এসে সুরমা নদীর পাড়ে স্কুলে ভর্তি হই। সেই সময়টাও ছিল আনন্দের। তবে মাঝে মাঝেই সাম্প্রদায়িক ইস্যু মাথাচাড়া দিত।’

সাম্প্রদায়িকতা প্রসঙ্গে মুহিত বলেছিলেন, ‘সাম্প্রদায়িক অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করা, এটি ভদ্রতার মধ্যে নিয়ে আসা একজন জ্ঞানী-গুণী ব্যক্তির জীবনের সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য হওয়া উচিত। আমি মনে করি, এই উদ্দেশ্য নিয়েই আমি ৮৮ বছর পূর্ণ করেছি। এটাই আমার মহাতৃপ্তির কারণ; এটাই মহাপ্রাপ্তির কারণ।’

তিনি বলেছিলেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্য, এখানে সাম্প্রদায়িক ইস্যু এসে যায়। এখানে সাম্প্রদায়িক দুর্বলতা খুব বেশি। আগেও ছিল। এখনও রয়েছে। তবে এখন হয়তো অনেক ভদ্র হয়ে যাচ্ছে।’