পার্লামেন্টে বসে পর্নোগ্রাফি দেখার অভিযোগ ব্রিটিশ এমপির বিরুদ্ধে!

পর্নো
ব্রিটিশ পার্লামেন্ট

ব্রিটিশ পার্লামেন্ট হাউস অব কমন্সে বসে পর্নোগ্রাফি দেখার অভিযোগ উঠেছে যুক্তরাজ্যের একজন পার্লামেন্ট সদস্যের বিরুদ্ধে। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্যদের একটি বৈঠকে এই অভিযোগ তোলা হয়। বৈঠকে বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ নারী এমপি যৌন হয়রানির কথাও শোনান।

পার্লামেন্টের একটি বৈঠকে নারী সংসদ সদস্যরা নিজেদের যৌনতা এবং হয়রানি বিষয়ক অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলার সময় এই অভিযোগ তোলা হয়। যদিও এখনো এই সংসদ সদস্যের নাম প্রকাশ্যে আনা হয়নি। একজন নারী মন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, অভিযুক্ত সংসদ সদস্যের পেছনে বসার সময় তিনি তাকে পর্নোগ্রাফি দেখতে দেখেছিলেন। গত সপ্তাহে একটি নির্বাচন কমিটির শুনানির সময় এই ঘটে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও দ্য টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত সপ্তাহে এই ঘটনা ঘটে। একটি নির্বাচন কমিটির শুনানির সময় ঘটনাটি ঘটে। টোরি এমপিদের শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা চিফ হুইপ ক্রিস হিটন-হ্যারিস প্রাথমিকভাবে বিষয়টি তদন্ত করছেন বলে জানান। এর আগে তিনি ঘটনাটি সংসদের স্বাধীন অভিযোগ এবং অভিযোগ স্কিম (আইসিজিএস) এর কাছে উল্লেখ করার জন্য বলেছিলেন।

আরও পড়ুন: ছোটবেলা থেকেই ছিলেন মেধাবী, যমজ বোন পেলেন মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ

এ ব্যাপারে কনজারভেটিভ পার্টির এমপি পলিন ল্যাথাম বিবিসিকে বলেন, বৈঠকে উপস্থিত বেশ কয়েকজন সাংসদ এই ঘটনায় ‘হতবাক’ হয়ে যান। অনেকেই ‘বিশ্বাস করতে পারছিলেন না যে সত্যিই একটি পেশাদার জায়গায় এমন কিছু ঘটতে পারে’।

পলিন ল্যাথাম আরও বলেন, ওই সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তিনি সংসদের পদের পাশাপাশি কনজারভেটিভ পার্টির পদও হারাবেন।

গ্রিন পার্টির একজন সাংসদ আরও জানিয়েছেন, টাইমস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যেখানে বলা হয়েছে যে মোট ৫৬ জন সংসদ সদস্য যৌন অসদাচরণের অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন এবং এমনকি প্রধানমন্ত্রীকেও জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল এই কারণে বরখাস্ত করা হবে হতে পারে কী না। জবাবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছিলেন, যৌন হয়রানি মোটেও ‘বরদাস্ত’ করার মতো নয় এবং এই কারণে বরখাস্ত করা হতে পারে।