১৩ বছর বয়সেই গ্র্যাজুয়েট হলেন এই বালক

শিশুকাল শেষ করে স্কুল-কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে তারপর স্নাতক শেষ করতে অনেক সময় লেগে যায় একজন মানুষের। আগে বেশি সময় লাগলেও এখন ২০-২২ বছরের আগে তা সম্পন্ন হয় না। তবে সেই নিয়মের ইতি টেনে মাত্র ১৩ বছর বয়সেই আনুষ্ঠানিকভাবে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করছে এলিয়ট ট্যানার নামে এক বালক। এমনকি সে এখন পিএইচডি ডিগ্রি নেওয়ার পরিকল্পনাও করছে।

এলিয়ট ট্যানারের বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য পশ্চিমাঞ্চলের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের সেইন্ট লুইস পার্ক শহরে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ইউনাইটেড প্রেস ইন্টারন্যাশনাল (ইউপিআই) গত মঙ্গলবার এলিয়টকে নিয়ে একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ করেছে।

এতে বলা হয়েছে, আগামী মে মাসে ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্নাতক ডিগ্রি পাচ্ছে এলিয়ট। তার বিষয়ও বেশ খটমটে, পদার্থ ও গণিত।

ছোট্টবেলায় এলিয়টের বয়সী বেশির ভাগ শিশু যখন জুতার ফিতা বাঁধা শিখছিল, তখনই সে পুরো বই পড়তে পারত। মাত্র দুই বছর বয়সে সে পড়তে শুরু করে। আমরা তাকে তখন পড়তে বসতে বিলিনি। নিজের আগ্রহেই এলিয়ট পড়াশোনা শুরু করে।

শৈশব থেকে পড়াশোনার প্রতি ভীষণ আগ্রহ এলিয়টের। তার মা মিশেল ট্যানার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘ছোট্টবেলায় এলিয়টের বয়সী বেশির ভাগ শিশু যখন জুতার ফিতা বাঁধা শিখছিল, তখনই সে পুরো বই পড়তে পারত। মাত্র দুই বছর বয়সে সে পড়তে শুরু করে। আমরা তাকে তখন পড়তে বসতে বিলিনি। নিজের আগ্রহেই এলিয়ট পড়াশোনা শুরু করে।’

মিশেল ট্যানার জানান, ৯ বছর বয়সে এলিয়ট কলেজ পর্যায়ের বই পড়তে শুরু করে। দুই বছরের মধ্যে সে কলেজ পর্যায় উতরে যায়। নরমানডেল কমিউনিটি কলেজে এলিয়টের পড়ার বিষয় ছিল বিজ্ঞান। এলিয়েট বলেন, ‘আমার জীবনে এটা ভীষণ ভালো একটি অভিজ্ঞতা। এখন স্নাতক শেষ হয়েছে। তবে এখানেই পড়ার পাট চুকে যাবে না। পরবর্তীতে আমি পদার্থবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করতে চাই।’

মাত্র ১৩ বছর বয়সে যেই ছেলে স্নাতক শেষ করেছে, সে দ্রুত পিএইচডি ডিগ্রি পাবে, এমনটা মনে করছেন অনেকেই। এলিয়টের কণ্ঠেও ঝরেছে আশাবাদের সুর। 

পিএইচডির পর কী করবে, এমন প্রশ্নের জবাবে এলিয়ট সংবাদমাধ্যমকে বলে, আমি শিক্ষক হতে চাই। একসময় ইউনিভার্সিটি অব মিনেসোটায় পদার্থবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে নিজেকে দেখতে চাই।