অধ্যাপক জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টা মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

ড. জাফর ইকবাল
অধ্যাপক জাফর ইকবাল

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যাচেষ্টা মামলায় হামলাকারী ফয়জুল হাসান ওরফে ফয়েজকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। এই মামলায় ফয়জুলের বন্ধু সোহাগ মিয়াকে চার বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার পর সিলেট বিভাগীয় সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) নুরুল আমীন বিপ্লব এই রায় দেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় রায়ে ফয়জুলের বাবা মাওলানা আতিকুর রহমান, মা মিনারা বেগম, ভাই এনামুল হাসান ও মামা সুনামগঞ্জ জেলা কৃষক লীগের নেতা ফজলুল হককে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

২০১৮ সালের ৩ মার্চ বিকেলে শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসের মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালে ড. জাফর ইকবালের ওপর হামলা হয়। মাদরাসাছাত্র ফয়জুল হাসান ছুরি দিয়ে জাফর ইকবালের মাথা ও ঘাড়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন। এ সময় উপস্থিত ছাত্র-শিক্ষকরা হামলাকারী ফয়জুলকে হাতেহাতে ধরে গণধোলাই দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সোপর্দ করেন। জাফর ইকবালকে গুরুতর আহতাবস্থায় প্রথমে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে হেলিকপ্টারে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে ওঠেন জাফর ইকবাল।

আরও পড়ুন- কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য অধ্যাপক জাকির হোসেন

এ ঘটনায় শাবিপ্রবির রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বাদী হয়ে মহানগর পুলিশের জালালাবাদ থানায় ফয়জুল হাসানকে প্রধান আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১৬ জুলাই ফয়জুলসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জালালাবাদ থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম। ওই বছরের ৪ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়।