মেডিকেলে চান্স পাওয়া ১১ শিক্ষার্থীর পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ

এবছর বিভিন্ন সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া অদম্য মেধাবীদের পাশে দাড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। কালের কণ্ঠের পাঠক ফোরাম শুভসংঘের ব্যবস্থাপনায় ১১ শিক্ষার্থীকে এই সহায়তা দেওয়া হয়েছে।

ওই শিক্ষার্থীদের প্রথমিকভাবে ভর্তি ও অন্যান্য খরচ বাবদ প্রত্যেককে ৫৮ হাজার টাকা উপহার হিসেবে দেওয়া হয়। এছাড়া পড়াশোনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিমাসে তাদের ১০ হাজার টাকা করে সহায়তা দেবে বসুন্ধরা গ্রুপ।

আজ সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেড মিলনায়তনে শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে এই সহায়তা শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।  

বসুন্ধরা গ্রুপের সহায়তাপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- রাজশাহীর বাঘা উপজেলার অন্তরা খাতুন (এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ, সিলেট), ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোছা. সাবিনা ইয়াসমিন (ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ), বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সুক্লা চিন্তাপাত্র (বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর), দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার শারমিন আক্তার (পাবনা মেডিকেল কলেজ), বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সাদিয়া আফরিন হারিছা (রাজশাহী মেডিকেল কলেজ), জয়পুরহাট সদর উপজেলার শারমিন আক্তার সুমি (রংপুর মেডিকেল কলেজ), কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার তাজগীর হোসেন (খুলনা মেডিকেল কলেজ), যশোরের কেশবপুর উপজেলার ইমামা ইসলাম ইমা (রাজশাহী মেডিকেল কলেজ), নাটোর সদর উপজেলার রাকিব হোসেন (চাঁদপুর মেডিকেল কলেজ), পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার মোছা. শাবনূর (শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, জামালপুর) এবং ঢাকার ধানমণ্ডির দীপিতা রহমান (বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ, ফরিদপুর)।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, কালের কণ্ঠের সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী, নিউজ২৪ এর এক্সিকিউটিভ এডিটর রাহুল রাহা, বসুন্ধরা গ্রুপ চেয়ারম্যানের সেক্রেটারি মাসুদুর রহমান মান্না প্রমুখ। 

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের সেক্রেটারি মাসুদুর রহমান মান্না বলেন, আপনারা জীবনের সঙ্গে অনেক যুদ্ধ করে এই পর্যন্ত এসেছেন। মেডিকেলে ভর্তির পর থেকে আরও একটা যাত্রা আসবে জীবনে, সেখানেও অনেক যুদ্ধ থাকবে। তবে জীবনে যাদের অবদান আছে, তাদের কথা কখনো ভুলে যাবেন না, শেকড়ের কথা কখনো ভুলে যাবেন না। এই বিষয়টা যতদিন মনে থাকবে, ততদিন আমরা মানুষ থাকবো। আর ডাক্তার হওয়ার পর এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে কাজ করে গেলেই মানুষের উপকার হবে, যার থেকে বড় পাওয়া আর কিছু নেই। আপনারা মানুষের জন্য কিছু করবেন, এটাই আমাদের প্রত্যাশা। 

ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের পরিচালক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের নির্দেশে আমরা অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের খুঁজে এনেছি। তাদের পাশে বসুন্ধরা গ্রুপ দাঁড়াবে। আমরা যে সহায়তাটা তাদের দিচ্ছি, এটা মূলত উপহার। এই উপহারটা আমরা তাদের দিচ্ছি তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এবং প্রকৃতপক্ষে দেশকে আমরা এই মানুষগুলো উপহার দিচ্ছি। তারা যখন ডাক্তার হবে, তারা যখন সমাজসেবক হবে, তারা যখন রাষ্ট্রের কাজ করবে, মানুষের কাজ করবে, তখন রাষ্ট্র এবং মানুষের উপকার হবে।

এ সময় তিনি প্রতিবছর এই কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া যে কোনো মানুষের পাশে, বিশেষ করে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপ সবসময় পাশে আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।  

অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পক্ষে কথা বলেন সাদিয়া আফরিন হারিছা। তিনি বলেন, রিকশা চালিয়ে বাবা আমাকে পড়ালেখা শিখিয়েছেন। আমার পরিবারসহ যারা সাহায্য করেছেন, আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ। আজকে বসুন্ধরা গ্রুপ আমাকে সাহায্য করেছে, আমি যেনো বড় হয়ে সবাইকে সাহায্য করতে পারি সেটিই আমার লক্ষ্য। লেখাপড়া শেষে আমি গরীবের ডাক্তার হয়ে কাজ করতে চাই।