ঢাবির বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক আতিউর আড়াই বছরে বই লিখেছেন ২৩টি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক পদে দায়িত্ব পাওয়ার পর আতিউর রহমান গত আড়াই বছরে ২৩টি বই লিখেছেন। এর মধ্যে ১৮টি প্রকাশিত হয়েছে এবং বাকি ৫টি প্রকাশিতব্য। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করে আতিউর রহমান তার আড়াই বছরের কার্যক্রম তুলে ধরেন।

আতিউরের ২৩টি বই লেখার তথ্য জেনে দায়িত্বশীলতার জন্য তাকে প্রশংসায় ভাসান উপাচার্য আখতারুজ্জামান। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রবীর কুমার সরকার, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবদুল বাছির, ইতিহাস বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক আবু মো. দেলোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক মো. নাসির উদ্দিন মুন্সী এসময় উপস্থিত ছিলেন।

২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক পদে নিয়োগ পান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অনাররি অধ্যাপকের দায়িত্বেও রয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক পদে নিয়োগ পাওয়ার গত আড়াই বছরে বাংলা ও ইংরেজিতে আতিউর রহমানের লেখা ২৩টি বইয়ের মধ্যে ১০টি বই হল বঙ্গবন্ধু বিষয়ক। বাকি বইগুলো বাংলাদেশ বিষয়ক। মুজিববর্ষ জুড়ে ‘আমাদের সময়’ পত্রিকায় ‘আমাদের স্বপ্ন সম্রাট’ শিরোনামে সাপ্তাহিক কিস্তিতে প্রায় ৬০টি নিবন্ধে বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম ও দর্শন সম্পর্কে তুলে ধরেন আতিউর। ‘দি ডেইলি সান’ পত্রিকায় সাপ্তাহিক কিস্তিতে প্রকাশ করেন ৬৬টি নিবন্ধ।

উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করে ড. আতিউর তার লেখা ৭৩টি বই বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারের জন্য উপহার দেন। এছাড়া বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক হিসেবে লেখা বইগুলোর মধ্য থেকে ১২টি বইয়ের এক সেট করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ইতিহাস বিভাগ, কলা অনুষদের ডিন এবং উচ্চতর সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রকে উপহার দেন তিনি।

আতিউর রহমান বলেন, এই বইগুলোই আমার সম্পদ, আমার সাধনার ফসল। যে বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে তৈরি করেছে, আমি সবটুকু সেই বিশ্ববিদ্যালয়কে উপহার দিলাম।

নিজ উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপকের দায়িত্বের জবাবদিহি তুলে ধরায় আতিউর রহমানের প্রশংসা করে উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, নিজের জবাবদিহিতা নিজেই নিশ্চিত করা এটা প্রশংসনীয়। সেটি তিনি এখানে উপস্থাপন করলেন, এটি আমরা দেখিনি কখনও। এটি একটা বড় উদাহরণ।

উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধু চেয়ার একটি সম্মানজনক পদ। এখানে যিনি দায়িত্ব পান, তিনি নিজ উদ্যোগেই কাজ করবেন বলে প্রত্যাশা করা হয়। সেই প্রত্যাশার মধ্যে বছরে হয়ত একটি-দুটি গবেষণা হবে। কিন্তু আমরা দেখছি অধ্যাপক আতিউর রহমান যা করেছেন, তা অনেক গুণ বেশি। বলতে গেলে প্রতি মাসে একটা করে গবেষণা হয়েছে।