প্রীতিকে ‘গুলি করে মারা’ যুবক আটক, পালাচ্ছিলেন ভারতে

সামিয়া আফরান জামাল প্রীতি
কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান জামাল প্রীতি

রাজধানীর শাহজাহানপুরে কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান জামাল প্রীতি ও আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পুলিশ এক যুবককে আটক করেছে। তাঁকে সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে আটক করা হয়েছে। তিনি ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন বলে ধারণা পুলিশের।

তদন্তসংশ্লিষ্টরা বলছেন, আটক তরুণ ভাড়াটে খুনি। মতিঝিল এলাকার কয়েকজন নেতার ঘনিষ্ঠ ওই তরুণসহ পাঁচ থেকে সাতজন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারেন। নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হলে তাঁদের ভাড়া করা হয়। তারা শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান ও ফ্রিডম মানিকের ঘনিষ্ঠ। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ নানা কাজে তাদের ব্যবহার করা হয়।

শনিবার (২৬ মার্চ) পুলিশের এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে, আটক তরুণের গুলিতে প্রীতি ও টিপু নিহত হয়েছেন। আরো দুজনকে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাঁরা মূল পরিকল্পনায় ছিলেন। পেশাদার ‘কিলার’ গ্রুপ এতে অংশ নেয়। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবে পুলিশ।

আরো পড়ুন: মা বলেছিল, ‘আজকে তোর আসার দরকার নাই’

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর ধারণা, এই হত্যাকাণ্ডে আরো কারণ থাকতে পারে। মতিঝিল এলাকার কয়েকজন নেতাকে এরই মধ্যে র‌্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। আরো কয়েকজন নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের করা হতে পারে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে শাহজাহানপুরে আওয়ামী লীগ নেতা টিপুকে গুলি করে হত্যা করেন সন্ত্রাসীরা। এ সময় পাশে রিকশায় থাকা কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান প্রীতিও নিহত হন। টিপুর গাড়িচালক মুন্নাও গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই নিহত টিপুর স্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত কাউন্সিলর ফারহানা ইসলাম ডলি মামলা করেন।

ডিএমপির গোয়েন্দা মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করে টিপুকে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। নানা বিষয় মাথায় রেখে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে। খুনিরা নাগালের মধ্যেই আছে।’