ইউক্রেন যুদ্ধ— হাঙ্গেরির মেডিকেলে পড়ার সুযোগ ১৪ বাংলাদেশির

হাঙ্গেরির মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে ১৪ বাংলাদেশি
ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলা শুরু পর হাঙ্গেরির মেডিকেলে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে ১৪ বাংলাদেশি

ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলা শুরু পর বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে হাঙ্গেরি গিয়ে বিশ্বখ্যাত স্যামিলস ইউনিভার্সিটির ডরমেটরিতে তারা আশ্রয় নিয়েছেন। এবার স্যামিলস কর্তৃপক্ষ এসব বাংলাদেশি মেডিকেল শিক্ষার্থীর ভর্তির সুযোগ দেবে বলে জানিয়েছে।

স্যামিলস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুভজিত নামে এক ছাত্র গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা ভালো আছি, সমস্যা নেই। ইউক্রেনে মেডিকেলের মান ভালো, খরচ কম। তবে যুদ্ধ শুরু হলে পোল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগ করি। তখন আমাদের হাঙ্গেরি চলে যেতে বলা হয়। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি দূতাবাসের সহযোগিতায় রাজধানী বুদাপেস্টের স্যামিলস বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের আশ্রয় দেওয়া হয়।’

জানা গেছে, রুশ হামলা শুরুর পর ইউক্রেনে থাকা প্রায় দেড় হাজার বাংলাদেশি অনেকে পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছেন। অনেকে হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া ও রুমানিয়ায় গেছেন।

অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা থেকে হাঙ্গেরি পাঠানো হয়েছে ডেপুটি চিফ অব মিশন রাহাত বিন জামানকে। তিনি বলেন, ‘হাঙ্গেরি ও স্লোভাকিয়ার সরকারকে আমরা চিঠি লিখেছি, তারা যেন বাংলাদেশিদের আশ্রয় দেয়। তারা রাজি হয়েছে। প্রথম ১৫ জনের দলের মধ্যে ১৪ জনই বাংলাদেশি মেডিকেল শিক্ষার্থী। তবে মূল চাপ পোল্যান্ডে।’

অস্ট্রিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল মুহিত গণমাধ্যমকে জানান, হাঙ্গেরিতে মোট ২৭ জন বাংলাদেশি আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের ২১ জনই ছাত্র। হাঙ্গেরির সরকার ও স্যামুলস বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১৪ জন মেডিকেল শিক্ষার্থীকে ভর্তির তথ্য নিশ্চিত করেছে। এটি বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়, তাদের সঙ্গে এখনো আলোচনা চলছে। যারা বৃত্তি নিয়ে পড়ছিলেন, তাদের বৃত্তি মঞ্জুরে স্যামুলস বিশ্ববিদ্যালয় রাজি হয়েছে।