করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ভয়াবহ হবে না: ড. বিজন
- ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫:৫৮
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অণুজীব বিজ্ঞানী ও সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল বলেছেন, ওমিক্রনের পর নতুন করে আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট আসবে। যদিও ভ্যারিয়েন্টগুলো তেমন ভয়াবহ হবে না।
তিনি বলেন, সবার দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সমান নয়। মহামারি আকারে যেভাবে ছড়িয়ে গেছে তাতে নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হবেই। যাদের ইমিউনিটি লেভেল নিম্ন, যে সব ব্যক্তিদের মধ্যে ইমিউনিটি কম উৎপাদন হয় তাদের অবস্থা খারাপের দিকে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: সেশনজটের কবলে ঢাবির এক-তৃতীয়াংশ বিভাগ
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে সিঙ্গাপুরে একটি গণমাধ্যমে ভার্চুয়ালি এসব তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, অ্যান্টিবডির বিপরীতেই ওমিক্রনের অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। সুতরাং নতুন ভ্যারিয়েন্ট হবেই। কোথায় হবে সেটি বলা না গেলেও এটি নিশ্চিত যে ওমিক্রনের পরও আরেকটি ভ্যারিয়েন্ট আমরা দেখতে পাবো। ওমিক্রনের মধ্যেও আমরা দেখেছি তিনটি উপ-ধরন তৈরি হয়েছে।
সেগুলো হচ্ছে বিএ.১, বিএ.২ এবং বিএ.৩। এই তিনটি ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে প্রথম এবং দ্বিতীয়টি একটু কাছাকাছি ছিল। বিএ.১ এর চেয়ে বিএ.২ বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। যদিও এর কারণ নিয়ে গবেষণা হয়নি।
ড. বিজন বলেন, একটি কথা মনে রাখতে হবে, ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সৃষ্টিকারী কোষ চারটি একসঙ্গে কাজ করে। সুতরাং ভ্যারিয়েন্ট যাই আসুক তা ব্যাপক বিস্তার হবে না। ওমিক্রন তাদেরই বেশি হচ্ছে যারা টিকা নেয়নি, এছাড়া যাদের কমোরবিদ কন্ডিশন রয়েছে তারও আক্রান্ত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ৮ বছর ধরে সমাবর্তনের অপেক্ষায় কয়েক হাজার গ্র্যাজুয়েট
এর আগে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ায় মানুষের শরীরে দ্রুত প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হবে বলে জানিয়েছিলেন বিশিষ্ট এই অণুজীব বিজ্ঞানী। তিনি ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়াকে ভালো উল্লেখ করে জানান, বেশি ছড়িয়ে পড়লে টিকার চেয়ে বেশি কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল একজন বাংলাদেশি অণুজীব বিজ্ঞানী। তিনি সার্সের কুইক টেস্টের আবিষ্কারক। গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গণস্বাস্থ্য ফার্মাসিউটিক্যালের প্রধান বিজ্ঞানী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনাভাইরাস নিয়ে নিয়মিত সেমিনার ও সচেতনামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। করোনাভাইরাস দ্রুত শনাক্তকরণে তার উদ্ভাবিত র্যাপিড ডট ব্লট কিট সাড়া জাগালেও বাংলাদেশ সরকারের অনুমতি না মেলায় তা বাজারজাতকরণ সম্ভব হয়নি।