প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই সম্মেলনের প্রস্তুতি ঢাবি ছাত্রলীগের

ঢাবি
ঢাবি ছাত্রলীগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলের হল সম্মেলন চলতি মাসের ৩০ তারিখ করার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ। এই সম্মেলন সফল করতে ইতোমধ্যে কমিটিও গঠন করেছে তারা। এছাড়াও টিএসসির পায়রা চত্বরকে এই সম্মেলনের স্থান হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান ছাত্রলীগের একাধিক নেতা।

কিন্তু করোনা ভাইরাস ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণে বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করেছে সরকার।মন্ত্রিপরিষদ থেকে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যেকোনো প্রোগ্রামেই ১০০ জনের বেশি উপস্থিত থাকতে পারবে না। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ১৮টি হলে ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীর সংখ্যাই তিন শতাধিক। এছাড়াও অতিথি এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে ৫০০ জন নিয়ে সম্মেলন করার পরিকল্পনা করছে ঢাবি ছাত্রলীগ।

সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এসব বিষয় অমান্য করে হল সম্মেলন করার ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছে কোন প্রকার সভা সমাবেশ করার কোন সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে হল সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বরিকুল ইসলাম বাঁধন বলেন, এখনো অনুমতি নেয়া হয়নি অনুমতি নিয়েই হল সম্মেলন করা হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেভাবে সম্মেলন করা যায় আমরা সেভাবেই করব।

প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে কোন প্রোগ্রাম হওয়ার সুযোগ নেই।
তারা তো ইতোমধ্যে জায়গা নির্ধারণ করে ফেলেছে এ বিষয়ে আপনাদের পদক্ষেপ কি এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।তবে তারা অনুমতি নিয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের কোন স্পষ্ট উত্তর দেননি গোলাম রব্বানী।

এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ফোন কল কেটে দেন। এদিকে সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাসকে একাধিকবার কল করা হলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হল শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ১৮ হল শাখার কমিটি হয় ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর। এক বছর মেয়াদি এই কমিটি ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয়ে চার বছর পেরিয়ে গেলেও হয়নি নতুন কমিটি।