বিষ পান করে শ্রেণিকক্ষে প্রধান শিক্ষকের আত্মহত্যা

লাশ উদ্ধার
বিষ্ণুদী আজিমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

শ্রেণীকক্ষ থেকে চাঁদপুর শহরের বিষ্ণুদী আজিমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) বিকেলে স্কুলের তৃতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহের পাশে একটি সুইসাইড নোট ও বিষের বোতল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

তার নাম মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি ওই বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। ফরিদগঞ্জ উপজেলার গৃদকালিন্দিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা তিনি। চাঁদপুর শহরের নাজিরপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন।

তার মৃত্যুকে রহস্যজনক বলে মনে করছেন বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরা। এটি হত্যা না আত্মহত্যা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে পুলিশ ও পিবিআই প্রাথমিক সুরতহাল করেছে। তবে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, বিষ পান করে আত্মহত্যা করতে পারনে ওই প্রধান শিক্ষক।

বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা নার্গিস আক্তার ও শিক্ষক আলম জানান, সকালে তিনি বিদ্যালয় আসেন এবং বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলমের সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক কাজ করেন। পরে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কেউ একজন তার সঙ্গে কথা বলতে আসবে বলে আলম স্যারকে বিদায় দেন।

আরও পড়ুন: দু-বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চান আলমগীর

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুপুরের পর পরিবারের লোকজন তাকে মোবাইলে না পেয়ে অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাতেও কোনো খবর না পেয়ে বিদ্যালয় এসে তাকে পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় তাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাহাবুদ্দিন বলেন, রফিকুল ইসলাম ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি যোগদান করেন। তিনি খুব শান্তপ্রকৃতির মানুষ ছিলেন। আমার জানামতে কারও সঙ্গে দ্বন্দ্ব নেই। কীভাবে কী হলো কিছুই বুঝতে পারছি না।

এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দিন জানান, তিনি বিষক্রিয়ায় মারা গেছেন বলে জানতে পারি। ঘটনাস্থল থেকে সুইসাইড-নোট ও বিষের বোতল জব্দ করা হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির সময় তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বিষ পান করে আত্মহত্যা করেছেন। এ ছাড়া তিনি একটা চিরকুট লিখে গিয়েছেন, যা তদন্তের স্বার্থে আমরা উন্মুক্ত করছি না। বাকি কাজ তদন্ত করে জানানো হবে।