শাবিপ্রবি

অর্থ দেয়ার অভিযোগে সাবেক দুই শিক্ষার্থীকে আটক

শাবিপ্রবিতে আন্দোলন
রেজা নূর ‍মুঈন ও হাবিবুর রহমান

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সাবেক দুই শিক্ষার্থীকে আটক করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাইবার পুলিশ সেন্টার। ধারণা করা হচ্ছে, আন্দোলনকারীদের অর্থ সহায়তা দেয়ার কারণেই তাদের আটক করা হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় তাদের আটক করা হয় বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। তবে এ বিষয়ে পুলিশের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আটক দুই শিক্ষার্থী হলেন- আর্কিটেকচার বিভাগের রেজা নূর মুঈন ও সিএসই বিভাগের হাবিবুর রহমান।

রেজা নূর মুঈনের স্ত্রী জাকোয়ান সালওয়া তাকরিম বলেন, রেজা সন্ধ্যায় উত্তরা অ্যাগোরার কাছে মুদি কেনাকাটার জন্য গিয়েছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে সিআইডির সাইবার ক্রাইম ইউনিট তুলে নেয়। পরে তারা রেজার গাড়ি ফেরত দিতে বাসায় আসে এবং জানায় যে রেজাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিআইডি সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, শাবিপ্রবিতে উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনের আন্দোলনকারীদের টাকা পাঠানোয় রেজাকে আটক করা হয়েছে। আমাদের কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না। শুধু জুনিয়রদের সাহায্য করার জন্য টাকা দিয়েছি।

আরও পড়ুন- আন্দোলনে বহিরাগতদের ইন্ধন জোগানোর অভিযোগ নাকচ 

হাবিবুরের সঙ্গে একসঙ্গে থাকতেন শাবিপ্রবির সাবেক আরেক শিক্ষার্থী শাহ রাজী সিদ্দিক। তিনি বলেন, আমি আর হাবিবুর রহমান গত প্রায় আড়াই বছর ধরে একসঙ্গে থাকি। তাকে সিআইডির লোকেরা উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টর এলাকা থেকে তুলে নিয়ে গেছে। হাবিবুরকে নিয়ে যাওয়ার সময় ৩ জন সিআইডি কর্মকর্তা ছিল এবং যোগাযোগের জন্য মাহমুদুল ইসলাম নামে একজনের ভিজিটিং কার্ড দিয়ে যায়।

১৩ জানুয়ারি রাত থেকে প্রভোস্ট বডির পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে ছাত্রীরা। পরে এতে সংহতি জানিয়ে অংশ নেয় ছাত্ররাও। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে ছাত্রলীগ হামলা করলে ক্ষোভ বাড়ে শিক্ষার্থীদের। তারা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে হামলাকারীদের বিচার দাবি করে। পরের দিন উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করা হয়। পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর রাবার বুলেট, টিয়ার শেল ও সাউন্ড গ্রেণেড নিক্ষেপ করে। এতে অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। এরপর থেকেই উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।