শাবিপ্রবির আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে ঢাবি শিক্ষার্থীদের সমাবেশ

উচ্চশিক্ষা
রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত সংহতি সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সমাবেশে শিক্ষার্থীরা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির পদত্যাগ সহ শিক্ষার্থীদের অহিংস আন্দোলনে ছাত্রলীগ ও পুলিশের বর্বর হামলার বিচার দাবি করেন। এর আগে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে গত রবিবার  অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিল তারা।

রবিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকাল চারটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শিক্ষার্থীরা ওই সংহতি সমাবেশ করেন।

আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি ভিসিকে অপসারণের দাবি সংসদে

সমাবেশে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অর্ণি আনজুম বলেন, শাবিপ্রবির ভিসি বিদায় নিলে নাকি আজকে ৩৪ জন ভিসিও পদত্যাগ করবেন। তারা কোন ভাবেই শিক্ষার্থী বান্ধব ভিসি না। তাদের সকলকেই পদত্যাগ করা দরকার। এই অমেরুদণ্ডী ভিসিদের আমরা চাই না। শিক্ষার্থীরা অহিংস আন্দোলন করছিল। কিন্তু পুলিশ ও ছাত্রলীগ সেখানে হামলা চালায়। যেকোন যৌক্তিক আন্দোলনে সরকার এভাবেই হামলা চালায়।

আকিফ আহমেদ বলেন, কি কারণে শাবিপ্রবির আজকের এই অবস্থা তা সবাই দেখেছে। এটা শুধু শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিত্র নয় এটা বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ভিসি অবশ্যই সম্মান পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু তাকে এই সম্মান বজায় রাখতে হবে। একজন ছাত্র যে মতাদর্শের হোক সে স্বাধীনভাবে থাকবে।

আরও পড়ুন: ব্যর্থ উপাচার্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না: নুর

তিনি বলেন, একজন গ্রামের চায়ের দোকানদার ভিসিকে যখন গালি দেন তখন আমাদের কষ্ট লাগে। ভিসিকে বোঝা উচিত যে তিনি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক। একটি বিশ্ববিদ্যালয় দাঁড়িয়ে থাকে ভিসির উপরে। যিনি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে পারেন না তিনি ভিসি হওয়ার যোগ্য নন।

আরেক শিক্ষার্থী উমামা ফাতেমা বলেন, বর্তমানে পদলেহন করেই ভিসির দায়িত্ব পাওয়া যায়। আমাদের শিক্ষকেরা একবারও ভাবেন না শিক্ষার মান রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব কি না। একটি সাধারণ যৌক্তিক দাবি নিয়েই শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করেছিলো। সাস্টের ঐক্যবদ্ধতা থেকে বাকিদের শেখা উচিত।

আরও পড়ুন: প্রশ্নফাঁসে জড়িত রূপাকে আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি

ফিন্যান্স বিভাগের জাবির আহমেদ জুবেল বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রলীগ হামলা করল। গ্রেনেড হামলা চালালো। যা বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাসে এটাই প্রথম। দেশের ৩৪ ভিসি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে হুমকি প্রদান করেছে। তারা নাকি পদত্যাগ করবে। আমাদের এখন সময় হয়েছে সারা বাংলাদেশ থেকে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার। সবাই আওয়াজ তুলুন।

এছাড়াও সংহতি সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী আরাফাত সাদ, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইভান তাহসীব, মাহমুদুল হাসান সুমিত, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ওমর ফারুক, মাহমুদ নেওয়াজ জয়, আবু রায়হান খান, রাগীব নাঈম, আল ফজলে রাব্বী এবং নাজিব হায়দার।