অচিরেই আফগানিস্তানে খুলছে মেয়েদের স্কুল

নারী শিক্ষা
আফগানিস্তানের স্কুল শিক্ষার্থীরা

আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে আফগান নারীরা চাকরি ও পড়াশোনার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মেয়েদের জন্য দেশটির মাধ্যমিক স্কুলগুলো বন্ধ। রবিবার (১৬ জানুয়ারি) অধিকার আদায়ে রাস্তায় নামতে হচ্ছে আফগান নারীদের। এমন অবস্থায় মার্চের মধ্যে দেশটিতে নারীদের জন্য সব স্কুল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে তালেবান সরকার।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবান সরকারের মুখপাত্র ও দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাবিউল্লাহ মুজাহিদ অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সঙ্গে আলাপকালে আশা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, মার্চের মধ্যেই পুরো আফগানিস্তানে মেয়েদের জন্য স্কুলগুলোকে খুলে দেয়া হবে।

মুজাহিদ আরও বলেন, ‘আমরা শিক্ষার বিরুদ্ধে নই। নারী শিক্ষার বিষয়টি আসলে সক্ষমতার সঙ্গে জড়িত। আমরা এই বছরই এগুলো সমাধানের চেষ্টা করছি। ফলে স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চালু করা সম্ভব হবে।

আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ-আন্দোলনের শুরু যেভাবে, যে কারণে

এ ছাড়া তালেবান সরকার নারীদের দূরবর্তী স্থানে ভ্রমণের ক্ষেত্রেও পুরুষসঙ্গী বাধ্যতামূলক করেছে। নারীদের বোরকা পরতে উৎসাহিত করতে প্রচার চালিয়ে আসছে দেশটির পুণ্যের প্রচার ও পাপ প্রতিরোধ মন্ত্রণালয়।

এর আগে আফগানিস্তানে নারীশিক্ষায় তালেবানের পদক্ষেপ ‘খুবই হতাশাজনক’ ও ‘পশ্চাৎমুখী’ বলে মন্তব্য করেছিলেন কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি। কাতার যে প্রক্রিয়ায় ইসলামি শাসনব্যবস্থা কায়েম করেছে, সেদিকে নজর দিতেও তালেবান নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন: সশরীরে বিচার কাজ বন্ধের ইঙ্গিত প্রধান বিচারপতির

প্রসঙ্গত, গত আগস্টের মাঝের দিকে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর আফগানিস্তানের বেশির ভাগ মেয়ে শিক্ষার্থী স্কুলে ফিরতে পারেনি। সেই সময় ক্ষমতায় আসার পর শুধুমাত্র ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের স্কুলে ফেরার অনুমতি দেয় তালেবান। তবে এ জন্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়াতে হয় তালেবান সরকারকে।