শাবিপ্রবি

আন্দোলনকারীরাই নিজেদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি করেছেন: প্রক্টর

আন্দোলনকারীরাই নিজেদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি করেছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর
আন্দোলনকারীরাই নিজেদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি করেছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাই নিজেদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রক্টর আলমগীর কবির। শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাতটার দিকে ওই হামলায় কয়েকজন আহত হন

শাবিপ্রবি প্রক্টর বলেন, আমি নিজেও সেখানে গিয়েছিলাম। ছাত্রীদের বলেছি যেন রাস্তা ফাঁকা করে তারা কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় আমাদের এক সহকর্মীর স্ত্রী, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীও, তিনি প্রসূতি হওয়ায় একটি মাইক্রোবাসে করে ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন।

আরও পড়ুন: শাবি ছাত্রীদের আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলা

তিনি আরও বলেন, এ সময় আন্দোলনকারীদের একটি পক্ষ ওই মাইক্রোবাস যাওয়ার রাস্তা তৈরি করে দেয় এবং আরেকটি পক্ষ গাড়িটি আটকে দিচ্ছিল। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ধাকাধাক্কির ঘটনা ঘটে।

তবে ভিন্ন কথা বলছেন আন্দোলনরত ছাত্রীরা। সাদিয়া ইসলাম নামে বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের এক ছাত্রী বলেন, গোল চত্বরের এদিক দিয়ে প্রথমে একটা অ্যাম্বুলেন্স আসলে আমরা সেটাকে পথ করে দেই। পরবর্তীতে আরেকটা অ্যাম্বুলেন্স আসলে আমরা সেটাকেও পথ করে দেই। এসব অ্যাম্বুলেন্সের পেছন পেছন এসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আন্দোলরত ছাত্রীদের মাঝে ঢুকে পড়ে।

আরও পড়ুন: তৃতীয় দিনেও চলছে ছাত্রীদের আন্দোলন, রাতের মধ্যে নতুন কর্মসূচি

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘এসময় তারা কয়েকজন ছাত্রীকে ধাক্কা দেয়। একপর্যায়ে আন্দোলনে সংহতি জানাতে আসা ১০-১২ জন ছাত্রকে তারা বেধড়ক মারধর করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং ছাত্র উপদেষ্টার উপস্থিতিতেই এই হামলার ঘটনা ঘটে। আমরা এ ঘটনার বিচার চাই।’

এর আগে, এদিন বিকেল পাঁচটার দিকে শতাধিক ছাত্রী সিরাজুন্নেসা হল থেকে বেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরে অবস্থান নেন। এরপর তাঁরা বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশের প্রধান রাস্তা ‘কিলো সড়ক’ অবরোধ করেন।

ছাত্রীরা সড়কের চারপাশে প্ল্যাকার্ড হাতে দাঁড়িয়ে অবরোধ তৈরি করে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেন। আন্দোলনরত ছাত্রীরা গতকাল বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে আজ শনিবার সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে তাঁদের ঘোষিত তিন দফা দাবি বাস্তবায়িত না হলে পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন।