শিক্ষার্থীর ফোন চুরি করে ধরা খেল চোর

অপরাধ
চবির শিক্ষার্থীর মোবাইল ও মানিব্যাগ চুরি করে পালিয়ে যাওয়া চোর।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) মোবাইল চুরি করে পালানোর সময় এক চোরকে আটক করে পিটুনি ‍দিয়েছে লোকজন। ২৫ বছর বয়সী ওই তরুণ চোরের নাম মো. কালু। তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারীর সন্দ্বীপ পাড়া এলাকার বাসিন্দা নূর আলমের ছেলে।

শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাওল হলের সামনের রাশেদ ভিলা কটেজ থেকে মোবাইল চুরি করে পালানোর সময় তিনি ধরা পড়ে যান।

আরও পড়ুন: ঢাবির বঙ্গবন্ধু হলের এক শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, চবির বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থীর মোবাইল ও মানিব্যাগ চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে ধাওয়া করেন কটেজের কয়েকজন বাসিন্দা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে উপস্থিত লোকজন তাকে ধরে ফেলে ও বেদম পিটুনি দেয়।

আরও পড়ুন: টাকা লুট করতেই ঢাবি অধ্যাপককে হত্যা

জানা যায়, এর আগেও চুরি করে ধরা পড়েন তিনি। তখন তার পরিবারের লোকজন এসে তাকে মুক্ত করে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. কবির হোসেন জানিয়েছেন, চুরির এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে ওই চোর পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা বিরল নয়। এর আগে ২০১৮ সালে ৩০ জুলাই মেরিন সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী আমানাত হলের আবাসিক ছাত্র জাহিন খন্দকারের রুম থেকে ল্যাপটপ চুরির ঘটনায় একই বিভাগের (২০১৫- ১৬) সেশনের রিফাত হাসান এবং একই সেশনের উদ্ভীদ বিজ্ঞান বিভাগের কাউসার ইবনে হাসানকে ৬ মাসের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর ওই বছরের সেপ্টেম্বরে আরও একাধিক চুরির অভিযোগে চবিতে মারধরের ঘটনা ঘটে। ২০২১ সালের জুলাইয়ে চবি ক্যাম্পাসে তিন দোকানে চুরির ঘটনায় প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তার দাবি জানানো হয়। একই বছরের ২২ আগস্টে করোনার টিকার খালি ভায়াল চুরির সময় চবির এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়।