স্কুলছাত্রের শরীরে পরপর ৩ ডোজ টিকা, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে

করোনা
নবম শ্রেণির স্কুলশিক্ষার্থী ইয়াছিন

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় এক নবম শ্রেণির স্কুলশিক্ষার্থীর শরীরে একসঙ্গে তিন ডোজ করোনার টিকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত টিকাদানকর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে

ওই শিক্ষার্থীর নাম মো. ইয়াছিন হোসেন ওরফে আরাফাত। ১৪ বছর বয়সী ওই শিক্ষার্থী উপজেলার হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের ইব্রাহীম খলিলের ছেলে। স্থানীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ে।

আরও পড়ুন: ড্রাইভারের গাফিলতি, হাবিপ্রবিতে ২১ শিক্ষার্থীর স্বপ্নভঙ্গ

হাটপুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হানিফ বলেন, অনেক শিক্ষার্থীকে টিকা দেওয়ার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাই। ইয়াছিনকে তিনবার কেন টিকা দেওয়া হলো তা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে জানতে চেয়েছি।

ওই ছাত্রের দাদা আবুল কালাম জানান, ইয়াছিনকে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তার শরীরে জ্বর ও গলা ব্যথা অনুভব হচ্ছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খন্দকার মোশতাক আহমেদ বলেন, ওই ছাত্রকে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: বিস্ফোরক মামলায় কারাগারে ঢাবি শিক্ষক

চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ জানান, অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত টিকাদানকর্মীকে শোকজ করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদনের পর পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া ওই শিক্ষার্থীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। সে সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে।

এদিকে টিকা প্রদানকারী মো. দিদার হোসেন জানান, প্রথমবার টিকা দেওয়ার সময় পড়ে যায়। পরে আরেক ডোজ দেওয়া হয়। আতঙ্কে সে তিনবার দেওয়ার কথা বলছে।