ইউল্যাব ছাত্রী ধর্ষণ-হত্যা: বন্ধুসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

নিহত
ফারাহ মাধুরী

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)’ এর ছাত্রী ফারাহ মাধুরীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় করা মামলায় তার বন্ধুসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন, মর্তুজা রায়হান চৌধুরী, মোসা. নুহাত আলম তাফসীর, ফারজানা জামান নেহা, শাফায়েত জামিল, মো. রিয়াজ উদ্দিন ও নুরুল আমিন।

আজ মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক সাজেদুল হক জানান, ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ছয় জনের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছি। আসামি আরাফাত হোসাইন মারা যাওয়ায় তাকে মামলার দায় হতে অব্যাহতির আবেদন করেছি। মামলায় ২৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

এর আগে ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি চারজনকে আসামি করে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেছিলেন নিহত ছাত্রীর বাবা। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও একজনকে আসামি করা হয়।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গত বছরের ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মর্তুজা রায়হান ওই ছাত্রীকে নিয়ে মিরপুর থেকে আরাফাতের বাসায় যান। সেখানে স্কুটার রেখে আরাফাত, ওই শিক্ষার্থী ও রায়হান একসঙ্গে ব্যাম্বুসুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা ও একজন সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদপান করান।

এজাহারে আরও বলা হয়, মদপানের একপর্যায়ে ওই ছাত্রী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান তাকে মোহাম্মদপুরে তার এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে ধর্ষণ করেন রায়হান। এ সময় রায়হানের বন্ধুরাও কক্ষে ছিলেন।

ধর্ষণের পর রাতে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পরদিন এসে তাকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুই দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর তার মৃত্যু হয়।