ছবি অঙ্কন ছেড়ে ক্যালিগ্রাফি শুরু করেন আইআইইউসি ছাত্রী

উমামা সালসাবিল রিনাম
উমামা সালসাবিল রিনাম

ক্যালিগ্রাফি দিন দিন বাংলাদেশে জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে। সাধারণ মানুষের চাহিদা ও জনপ্রিয়তা বাড়ছে। আরবী ও বাংলা ক্যালিগ্রাফি ব্যাপকভাবে মুসলিম তরুণ-তরুণীদের শিল্পচর্চা হয়ে ওঠছে। অদূর ভবিষ্যতেই এ শিল্পের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা যায়, মুসলমানদের আগমনের পূর্ব হতে আরব অঞ্চলে ক্যালিগ্রাফির চর্চা শুরু হয়। মক্কা নগরীতে আরবি লিপির প্রথম প্রচলন করেন বিশর ইবনে আবদুল মালিক আল কিন্দি। শুরুর দিকে কুরআনের লিপি আজকের দিনের মত এত সুন্দর ও পরিপাটি ছিল না। ক্যালিওগ্রাফি যেমন প্রতিনিয়ত তার অতীত সৌন্দর্যকে ছাড়িয়ে যায়, ঠিক তেমনি নতুনত্ব খুঁজে পায় নতুন শিল্পের ছোঁয়ায়।

ক্যালিগ্রাফার তরুণী উমামা সালসাবিল রিনাম। তিনি চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইআইইউসি) ফার্মাসি বিভাগের ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। থাকেন নগরীর আগ্রাবাদে। পরিবারের বড় মেয়ে তিনি। রিনাম জানান ছোট থেকেই রঙের তুলি দিয়ে ক্যানভাসে, পেপারে বা দেয়ালে যখন যা হাতের কাছে পেয়েছেন, তা দিয়ে আঁকাআঁকি করতেন। সে থেকেই তার এ যাত্রা শুরু।

আইআইইউসি ছাত্রী সালসাবিল রিনাম বলেন, একসময় ছবি অঙ্কন করতাম। যখন জানতে পারলাম প্রাণীর ছবি অঙ্কন হারাম, তখন এ কাজ ছেড়ে দেই। কোন একদিন ফেসবুক টাইমলাইনে আমার চোখে পড়ে আররি ক্যালিগ্রাফির ছবি। সে ছবিটি দেখে আমার মনে অনেক ভালোলাগা কাজ করে। আমি একসময় ঝুঁকে পড়ি আরবির প্রতি। আরবি লেখা শেখার চেষ্টা করি এবং এখন এই অবস্থায় দাঁড়িয়েছি।

তিনি আরও বলেন, এখন আমি বাংলা ক্যালিগ্রাফি শিখছি। তবে বাংলার চেয়ে আরবী ক্যালিগ্রাফির প্রতি বেশি মন টানে আমার। কুরআনের প্রতিটি অক্ষর যেন মনের মাধুরি মিশিয়ে নিজের শিল্প দিয়ে প্রকাশ করার চেষ্টা করি । সকলের দোয়া চাই, এভাবে যাতে কাজ করে যেতে পারি।