সংক্রমণ বাড়লে ফের লকডাউন

লকডাউন
লকডাউন

দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়লে আবারও লকডাউন দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অনেকে জিজ্ঞাসা করছেন, লকডাউন দেওয়া হবে কি না, পাশের দেশে (ভারতে) তো দিয়েছে। আমরা সেই চিন্তা এখনো করছি না। যদি অবস্থা আওতার বাইরে যায়, সংক্রমণ অনেক বৃদ্ধি পায়, তাহলে লকডাউনের চিন্তা মাথায় আছে। পাশাপাশি স্থল, নৌ ও সমুদ্রবন্দরে স্ক্রিনিং জোরদার করা হয়েছে। কোয়ারেন্টাইনের ক্ষেত্রে পুলিশ পাহারা বসানো হবে। এবিষয়ে দৃষ্টি দিতে বলা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কিছু বিষয়ের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। এরমধ্যে ‘রাত ১০টার পরিবর্তে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা রাখা যাবে। ‘হোটেল-রেস্টুরেন্টে খেতে হলে টিকা দেওয়ার কার্ড দেখাতে হবে। মাস্ক পরে যেতে হবে।’

আরও পড়ুন: শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতে আন্তর্জাতিক মান নেই ৫৮ বিশ্ববিদ্যালয়ে

স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল চলবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যদি সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়, তবে স্কুলের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করা হবে। তখন আর স্কুল চালিয়ে রাখা যাবে না। এখনো সেই সিদ্ধান্ত আমরা নেইনি, সেই পরিস্থিতি এখনো দেশে বিরাজ করছে না।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাস ও অন্যান্য যানবাহনে যাত্রী অর্ধেক পরিবহনের প্রস্তাব করা হয়েছে। রেস্টুরেন্ট ও হোটেলে মাস্ক পরে যেতে হবে। মাস্ক ছাড়া গেলে দোকানদারের জরিমানা হবে, যে যাবে তারও জরিমানা হতে পারে।’

আরও পড়ুন: অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলবে গণপরিবহণ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

জাহিদ মালেক বলেন, আমরা দেশকে নিরাপদ রাখতে চাই। দেশের অর্থনীতি ভালো থাকুক। জীবনযাত্রা স্বাভাবিকভাবে চলুক। এজন্য আমাদের সবাইকে চেষ্টা করতে হবে। শুধু সরকার কিংবা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একা পারবে না। ঝুঁকিপূর্ণ ও বয়স্ক ব্যক্তিরা সাবধানে থাকবেন। ওমিক্রন দু-তিনগুণ বেশি হারে সংক্রমণ করে।

এর আগে ওমিক্রন মোকাবিলায় সোমবার (৩ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আয়োজনে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকে নানান ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত হয়।