‘মুরাদকে শায়েস্তা করতে আমাদের দুই মিনিট লাগবে’

 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও জুলিয়াস সিজার তালুকদার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তা মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও এস এম হলের সাবেক জিএস জুলিয়াস সিজার তালুকদার বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানকে কাঁদিয়ে ছেড়েছে, তার তুলনায় মুরাদ তো রাজনীতির নর্দমার একটা 'নেড়ি কুত্তা'। ওকে শায়েস্তা করতে আমাদের দুই মিনিট লাগবে৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোকেয়া ও শামসুন্নাহার হলের নারীদের নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জবাবে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

জুলিয়াস সিজার লিখেছেন, বাংলাদেশের অস্তিত্বের জন্য একমাত্র 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়' অপরিহার্য। এছাড়া কোন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানই অপরিহার্য নয়৷ প্রতিমন্ত্রী মুরাদের মতো একজন কুরুচিপূর্ণ ও বিকৃত চরিত্রের লোক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে এসব মন্তব্য করে দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির চূড়ান্ত স্খলনের উদাহরণ দেখালো মাত্র।

তিনি আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের হৃদয়। এই হৃদয়খানির অকল্যাণে যারা তৃপ্ত তারা নিঃসন্দেহে পৈশাচিক, যারা নীরব তারা অবশ্যই কূপমণ্ডূক আর যারা জাতীয় কল্যাণের দোহাই দিয়ে অকল্যাণকে সমর্থন করে তারা ক্ষমতাসীনের স্তাবক, গোলামিই তাদের জীবনের একমাত্র সাধনা। কোন মানুষকে হৃদয়াহত করে যেমন তার সুস্বাস্থ্য প্রত্যাশা করা যায় না, তেমনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিদীর্ণ করেও জাতীয় কল্যাণ সাধিত হবে না৷

উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় নাহিদ রেইনস পিকচার নামে একটি ফেসবুক পেজে ঘন্টখানেক ধরে চলা ‘অনলাইনে রাজনৈতিক শিষ্টাচার’ শিরোনামে এক লাইভ অনুষ্ঠানে এসে ডা. মুরাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রোকেয়া ও শামসুন নাহার হলের সাবেক নেত্রীদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন।

লাইভ চলাকালে একসময় তিনি বলেন, শুনেন আমি না হয় পড়াশোনা ঠিক মতো করি নাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রাচ্যের অক্সফোর্ডে আমি ‘ক’ এবং ‘ঘ’ ইউনিট দুটোতেই প্রথম তিনশো জনের মধ্যে আমি একজন ছিলাম। ভর্তি হয়ে সাত দিন পর বাদ দিয়ে (বাতিল করে) ময়মনসিংহ মেডিকেলে চলে গেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুদেরকে বলতাম, শোন তোদের ওখানে প্রস্রাব করার টাইমও আমার নেই।

অতীতে ঢাবির হলে রাজনীতি করা মেয়েদের ব্যাপারেও মন্ত্রী মুরাদ বলেন, রাতের বেলা তারা নিজেদের রুমে থাকতেন না। ঘুমাতেন হোটেলে হোটেলে। কারণ, ফাইভ স্টার হোটেলে থাকা আর রোকেয়া-শামসুন্নাহার হলে থাকা কি এক কথা?