শতবর্ষের মিলনমেলা

ঢাবি অ্যালামনাইয়ের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ অনেকেই

আগামী ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে ‘শতবর্ষের মিলনমেলা’। ঢাকা ইউনির্ভাসিটি অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের আয়োজনে এতে সাবেক শিক্ষার্থীরা অংশ নেবেন। তবে আয়োজনে অংশ নেয়ার শর্ত নিয়ে ইতোমধ্যে সমালোচনা শুরু হয়েছে।

অ্যালামনাই এসোসিয়েশন জানায়, মিলনমেলায় অংশ নিতে হলে আগে ৫০০০ টাকা ফি দিয়ে জীবন সদস্য হতে হবে। তারপর অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত ১৫০০ টাকা ফি জমা দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। অর্থাৎ আগে জীবন সদস্য না হওয়া একজনকে মিলনমেলায় অংশ নিতে হলে মোট ছয় হাজার পাঁচশ টাকা গুণতে হবে। জীবন সদস্য না হলে কেউ মিলনমেলায় অংশ নিতে পারবেন না।

মিলনমেলায় অংশ নেয়ার জন্য ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশনের সময় বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা জীবন সদ্যসের জন্য আবেদন করবেন তারাই মিলনমেলায় উপস্থিত হওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন।

মিলনমেলায় জীবন সদস্য হওয়া বাধ্যতামূলক করাকে অনেকেই ভালো চোখে দেখছেন না। অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক গ্রুপে ক্ষোভ জানাচ্ছেন তারা।

‘ঢাকা ইউনির্ভাসিটি অ্যালামনাই এসোসিয়েশন’ নামের গ্রুপটিতে লুতফার রহমান নামে একজন লিখেন, 'এক লাখ টাকা নির্ধারণ করলেও অনেকেই হাসিমুখে আজীবন সদস্য হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বলে কথা। তবে অনেকেই হবে না। কিন্তু একটা সিদ্ধান্ত খুব নিবর্তনমূলক মনে হচ্ছে। ৫০০০ টাকা দিয়ে আজীবন সদস্য না হলে ১৫০০ টাকা দিয়ে শতবর্ষের অনুষ্ঠানের জন্য রেজিস্ট্রেশন করা যাবে না। নিজ বিভাগ সহ আরো অনেক অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এর সাথে জড়িত। কোথাও এমন নিবর্তনমূলক নিয়ম নেই।'

কামরুল আকন্দ নামে আরেক সাবেক শিক্ষার্থী লিখেন, ‘কোন ধান্দাবাজি নয়। স্রেফ প্রতিদিন ক্যাম্পাসে যাব। ক্যাম্পাসে বসে আড্ডার জন্য ৫০০০টাকা দিতে রাজি নই।’ হাসান আলী নামে একজন লিখেন, ‘পৃথিবীর নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই এসোসিয়েশন যে প্রক্রিয়ায় সদস্য সংগ্রহ করে ঢাবি অ্যালামনাই সে পথ অনুসরণ করলে অনেক বিতর্কের অবসান হবে।’ মোঃ হারুন অর রশীদ নামে অপর শিক্ষার্থী লিখেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে আমারও দাবি/অধিকার, শখ , ইচ্ছা , সাধ আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ( যে কোন প্রোগ্রামে) কেবল রেজিস্ট্রেশন ফি ১৫০০ টাকা দিয়ে শতবর্ষ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার। সেখানে আবার ৫০০০ টাকা দিয়ে আজীবন সদস্য হতে হবে কেন?’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসোসিয়েশনের মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার বলেন, এটা সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্ত। আজীবন সদস্য হওয়ার জন্য পাঁচ হাজার টাকা করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নেয়া হয়েছিল। কয়েকজন টাকার বিষয়ে অভিযোগ করতে পারে। তবে যদি কেউ অভিযোগ করেও থাকে সেটি সাধারণ পরিষদে সদস্যরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।