শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু

তদন্ত কমিটি থেকে দুই শিক্ষকের পদত্যাগ

তদন্ত কমিটি থেকে দুই শিক্ষকের পদত্যাগ
তদন্ত কমিটি থেকে দুই শিক্ষকের পদত্যাগ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক অধ্যাপক মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির দুজন সদস্য এই দায়িত্ব পালন করতে চাইছেন না। কমিটি গঠনের দুদিন পর বৃহস্পতিবার দুই সদস্যের অপারগতা প্রকাশের কথা জানান কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক কাজী সাজ্জাদ হোসেন।

ছাত্রলীগের একটি অংশের নেতা-কর্মীদের লাঞ্ছনার পর মঙ্গলবার ওই শিক্ষকের মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ ওঠায় তা খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির সভাপতি করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. আরিফুল ইসলাম। সদস্য করা হয় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক আতাউর রহমান ও ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক কল্যাণ কুমার হালদারকে।

উপাচার্য অধ্যাপক কাজী সাজ্জাদ সাংবাদিকদের বলেন, এদের মধ্যে থেকে কল্যাণ কুমার হালদার লিখিতভাবে এবং মো. আরিফুল ইসলাম মৌখিকভাবে তদন্ত করতে অপারগতা জানিয়েছেন।

তবে কী কারণে এই অপারগতা, তা জানতে ওই দুই শিক্ষককে বারবার ফোন করা হলেও তাদের পক্ষ থেকে কোন ধরনের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

এদিকে, অধ্যাপক সেলিম হোসেনের মৃত্যুতে কুয়েট শিক্ষক সমিতির ডাকে সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে এদিন ১০টা থেকে ১ ঘণ্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষকরা।

এরপর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষকরা কালো ব্যাজ ধারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্বার বাংলা ভাস্কর্যের পাদদেশে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে বিশ্ববিদালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে স্মারকলিপি দেন।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রতীক চন্দ্র বিশ্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, ড. সেলিমের মৃত্যুর ঘটনার জন্য দায়ী ছাত্রদের স্থায়ীভাবে ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কার ও শাস্তি না দেওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এছাড়া আগামী রোববার বিকালে শোকসভা করা হবে।