প্রথম দিনে সিলেট বোর্ডে অনুপস্থিত ১৫৫ পরীক্ষার্থী

প্রথম দিনে সিলেট বোর্ডে অনুপস্থিত ১৫৫ পরীক্ষার্থী
প্রথম দিনে সিলেট বোর্ডে অনুপস্থিত ১৫৫ পরীক্ষার্থী

উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার প্রথম দিনে সিলেট বোর্ডে ১৫৫ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার (০২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় পদার্থ বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) প্রথম পত্র দিয়ে পরীক্ষা শুরু হয়।

বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ চন্দ্র পাল জানান, এদিন সিলেটে ৮৫টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। বিজ্ঞান বিভাগের ১৩ হাজার ৪০৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৩ হাজার ২৫২ জন পরীক্ষায় অংশ নেয়। ১৫৫ জন অনুপস্থিত ছিল বলে জানালেও কোনো পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কারের খবর পাওয়া যায়নি।

সিলেট শিক্ষা বোর্ডের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শরীফ আহমদ বলেন, এবার এইচএসসিতে পাঁচটি এবং আলিমে একটি বিষয়ে পরীক্ষা হচ্ছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর ৭৫ হাজার ৩২৩ জন শিক্ষার্থীকে এইচএসসিতে ‘অটোপাশ’ দেওয়া হয়েছিল।

এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ২৯৯টি প্রতিষ্ঠানের ৬৭ হাজার ৯৮৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। সব মিলিয়ে গতবারের চেয়ে এবার সাত হাজার ৩৩৮ জন পরীক্ষার্থী কমেছে। তবে করোনাকালে অটোপাসের পর এবার সরাসরি পরীক্ষায় ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের সংখ্যা ছয় হাজার ১১৭ জন বেশি।

বোর্ড সূত্র জানায়, সিলেট শিক্ষা বোর্ডের অধীনে বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ পরীক্ষার্থী রয়েছে সিলেট জেলায় ২৯ হাজার ১৭৩ জন। এরমধ্যে ১৩ হাজার ৭৯৬ জন ছাত্র এবং ১৫ হাজার ৩৭৭ জন ছাত্রী। জেলার ১৪৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এসব পরীক্ষার্থী ৩২টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে।

সুনামগঞ্জ জেলার ৫৮টি প্রতিষ্ঠানের ১২ হাজার ৯০৬ জন পরীক্ষার্থীর ২১টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হচ্ছে। এরমধ্যে ছাত্র পাঁচ হাজার ৭৭৪ জন এবং ছাত্রী সাত হাজার ১৩২ জন। মৌলভীবাজার জেলার ৪৯টি প্রতিষ্ঠানের ১৩ হাজার ২৭৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র পাঁচ হাজার ৬৩৭ জন এবং ছাত্রী সাত হাজার ৬৪২ জন। এসব শিক্ষার্থীরা ১৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে।

হবিগঞ্জ জেলায় ৪৮টি প্রতিষ্ঠানের ১২ হাজার ৪৩৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। এরমধ্যে ছাত্র পাঁচ হাজার ৬১৫ জন এবং ছাত্রী ছয় হাজার ৮১৯ জন। এসব পরীক্ষার্থী ১৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা দিচ্ছে।

করোনা মহামারির কারণে নির্ধারিত সময়ের প্রায় আট মাস পর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হলেও বদলেছে সময়। এবার তিন ঘণ্টার পরিবর্তে দেড় ঘণ্টা পরীক্ষা দেয় শিক্ষার্থীরা। এরমধ্যে ১৫ মিনিট বরাদ্দ ছিল নৈর্ব্যক্তিকের জন্যে। তবে অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ১৫ মিনিট সময় বেশি পেয়েছে।