বহিরাগত ঠেকাতে মাভাবিপ্রবিতে প্রশাসনের অভিযান

সাম্প্রতিক সময়ে বেশকিছু অপ্রীতিকর ঘটনার প্রেক্ষিতে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাপ্রবি) ক্যাম্পাসে বহিরাগত ঠেকাতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে সাথে নিয়ে অভিযানে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শনিবার ও রবিবার (২৭ ও ২৮ নভেম্বর) চলা এই অভিযানে বেশ কয়েকজন বহিরাগতকে অনৈতিক কর্মকাণ্ড, মোটরসাইকেলের অতিরিক্ত স্পিড ও লাইসেন্স না থাকার কারণে পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। তাছাড়া বেশ কয়েকজন বহিরাগতকে সতর্কও করা হয়। বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে আনাগোনার কারণ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়ী করছেন মাভাবিপ্রবি প্রক্টর।

অভিযানের বিষয়ে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রক্টর ড. মীর মো. মোজাম্মেল হক বলেন, গত ২৫ ও ২৬ নভেম্বর মাওলানা ভাসানী আদর্শ কলেজের শিক্ষার্থীরা পর্যায়ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের মেয়ে শিক্ষার্থীদের উপর ক্যম্পাসের মধ্যেই ইভটিজিং এর মতো ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে বহিরাগত রুখতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে সাথে নিয়ে দুইদিন অভিযান পরিচালনা করি। এসময় অপ্রীতিকর অবস্থায় কয়েকজন বহিরাগতকে পাওয়া যায়। বেশ কয়েকজন বহিরাগতকে মোটসাইকেলসহ ধরা হয় এবং তাদের সতর্ক করা হয়। সেই সাথে অতিরিক্ত স্পিডে ক্যাম্পাসের মধ্যে যাতায়াত করায় ও লাইসেন্স না থাকার কারণে কয়েকজনকে পুলিশের হেফাজতে দেয়া হয়।

বহিরাগত ঠেকাতে স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা নেয়া হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি অনেক জটিল প্রক্রিয়া। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে থাকা মাওলানা ভাসানীর হাতে গড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থাকায় বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে ঢোকার সুযোগ পাচ্ছে। বিশেষ করে মাওলানা ভাসানী আদর্শ কলেজের কারণে এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতিগুলোর সৃষ্টি হচ্ছে। কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের সাথে কথাবার্তা চলছে।

এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা জোরদারে অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা সদস্যদের সাথে আলোচনা করে দ্রুত স্থায়ী সমাধানের জন্য পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

জানা যায়, দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় মাভাবিপ্রবি বহিরাগতদের আড্ডার স্থানে পরিণত হয় যা বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পরেও অব্যাহত থাকে। শিক্ষার্থীদের বসার ও বিচরণের জায়গাগুলো বহিরাগতদের আড্ডা দিতেও দেখা গেছে। মাঝেমধ্যে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের দু’পক্ষের মাঝে ঝগড়া ও মারামারিও বেধে যায়। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিজ ক্যম্পাসেই জায়গা নেই এবং অনিরাপদ ক্যাম্পাস বলে স্যোশাল মিডিয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মাভাবিপ্রবি শিক্ষার্থীরা।