বাবা নৌকা না পাওয়ায় লাইভে এসে অফিস ভাঙলো ছাত্রলীগ কর্মী

ভাঙচুর
দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় রাগে ও ক্ষোভে ফেসবুক লাইভে এসে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়ন থেকে নির্বাচনে লড়তে নৌকার মনোনয়ন চেয়েছিলেন ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম। পরে দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় রাগে ও ক্ষোভে ফেসবুক লাইভে এসে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী বাইজিদ সরকার।

আজ বুধবার (২৪ নভেম্বর) সকালে ঘটনাটি ঘটে। এসময় বাইজিদ সরকার নিজেই ফেসবুক লাইভে তা প্রচার করেন। ভিডিওটিতে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ অফিসে ঢুকে শুরুতে চেয়ার ভাঙচুর করেন বাইজিদ। তাকে একজন বাধা দিতে এলে তিনি তার দিকে তেড়ে যান। পরে আবার ভাঙচুর শুরু করেন। এক নেতার ছবি নামিয়ে আগুন দেয়ার চেষ্টা করতেও দেখা যায় বাইজিদকে। ভিডিওটি ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও ঘটনার পরপরই নিজের ফেসবুক থেকে ভিডিওটি সরিয়ে নেন বাইজিদ।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, ৪র্থ ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুলালপুর ইউনিয়ন থেকে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন মনিরুল ইসলাম। গতকাল মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাতে ঘোষিত আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকায় অন্যজনের নাম দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে মনিরুল ইসলামের ছেলে বাইজিদ। আজ সকাল ১০টায় দুলালপুর পশ্চিম বাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে ভাংচুর চালান তিনি। এসময় নিজের ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে ছিলেন বাইজিদ।

কেন দলের অফিস ভাঙচুর করলেন, এমন প্রশ্নে বাইজিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর আমল থেকে আমার দাদা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। দাদা সামছুল ইসলাম মেম্বার ছিলেন, আমার বাবা এই ইউনিয়ের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি। এবার কেন্দ্রে ৭ জনের নাম পাঠানো হয়। আমার বাবার নাম সবার প্রথমে ছিল। অথচ তালিকার ৩ নম্বরে থাকা নিক্সন ভাই নৌকা পেলেন।

‘আওয়ামী লীগ করতে করতে আমার পরিবার নিঃস্ব। আমার নামে দুটা মামলা চলমান। ওই অফিসটা আমাদের জায়গায়। আমরা যদি অফিসটা ভাড়া দিই, তাহলে মাসে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা আসে। দলকে ভালোবেসে আমরা তা করিনি।’