জনগণের সেবক হতে চান ক্লোজআপ ওয়ান তারকা সাজু

জনগণের সেবক হতে চায় ক্লোজআপ ওয়ান তারকা সাজু
শিল্পী সাজু আহমেদ সরকার

আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়তে চান ক্লোজআপ ওয়ান তারকা সাজু আহমেদ সরকার। কুড়িগ্রামের ছেলে সাজু উলিপুর উপজেলার ৪নং পান্ডুল ইউনিয়ন থেকে নির্বাচন করতে যাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সাজু নির্বাচনের জন্য এখন দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। এ লক্ষ্যে ১৬ নভেম্বর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে মনোনয়ন পত্র জমা দেন তিনি। 

জেলার পান্ডুল ইউনিয়নের তেলিপাড়া গ্রা‌মে মৃত আজগর আলী ও রানীজান বেগমের পুত্র সাজু ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা) থেকে সংগীতে মাস্টার্স পাস করেছেন।  

কুড়িগ্রামের সাবাই তাকে শিল্পী সাজু নামেই চিনে। ছোট বেলা থেকে রাজনীতির সাথে যুক্ত রাজু সংগীত, রাজনীতি ছাড়াও বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজে নিজেকে যুক্ত করেছেন। দেশের সব জেলায় সংগীত বিদ্যালয় গড়ার প্রত্যয় নিয়ে গড়ে তুলেছেন ‘সাজু সংগীতাঙ্গন’। বর্তমানে উত্তবঙ্গ ছাড়াও গাজীপুর, ঢাকা, সিলেটসহ ১০টি জেলায় তার প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলছে। 

মনোনয়নের ব্যাপারে জানতে চাইলে সাজু জানান, আমার জন্মস্থান অবহেলিত পান্ডুল ইউনিয়ন। যেখানে মানুষ অনেকাংশেই মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত। আমি এই মানুষগুলোর সাথে থাকতে চাই। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ আশাবাদী।

লোকসংগীত গেয়ে খ্যাতি অর্জনকারী এই শিল্পী ২০০৮ সালে রিয়ালিটি শো ক্লোজআপ ওয়ান এ দ্বিতীয় রানারআপ নির্বাচিত হন। সেসময় প্রথম না হওয়াতে তার জেলায় বিক্ষোভ করেছিল মানুষ। উত্তরাঞ্চলের ফোক গান দিয়ে তাঁর সঙ্গীত চর্চা শুরু হলেও পরবর্তীতে সাজু অন্যান্য জেলার গানও চর্চা করেছেন। এছাড়া আধুনিক গান ও চলচ্চিত্রের জন্যও গেয়েছেন তিনি।

সঙ্গীতের পাশাপাশি ‘বিহাইন্ড দি টোকাই’ নামে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। এখন পর্যন্ত তাঁর একক অ্যালবাম প্রকাশ হয়েছে দশটি। আছে বেশ কিছু মিশ্র অ্যালবামও।

নির্বাচনী রাজনীতির কারণে সংগীত চর্চা ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মানুষের সেবক হতে চাই, মানুষের মাঝে থাকতে চাই, বাঁচতে চাই। সেটা সংগীত হউক, সংগীত বিদ্যালয় কিংবা জনপ্রতিনিধি। সবকিছুই সেবামূলক। আমি দেশবাসীর নিকট দোয়া চাই।