ভুল প্রশ্নপত্রে একই বিষয়ের দু’বার পরীক্ষা

ভুল প্রশ্নপত্রে একই বিষয়ের দু’বার পরীক্ষা
ভুল প্রশ্নপত্রে একই বিষয়ের দু’বার পরীক্ষা

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সুবিদখালী রহমান ইসহাক পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে একই বিষয়ে দিনে দু’বার পরীক্ষা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (১৪ নভেম্বর) বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বিষয়ের (বিষয় কোড-১৫৩) পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।

পরীক্ষার্থী ও অভিভাবক সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষা শুরু হওয়ার একঘণ্টা পর ভুল কোডে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়টি কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। পরে ওই প্রশ্ন ও উত্তরপত্র প্রত্যাহার করে নির্ধারিত সেটকোডের প্রশ্নপত্রে নতুন উত্তরপত্রে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে।

মির্জাগঞ্জ উপজেলার সুবিদখালী সরকারি রহমান ইসহাক পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভেন্যুতে সকাল ১০টায় যথারীতি বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বিষয়ের পরীক্ষা শুরু হয়। এতে ১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৯১ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে।

ওইদিন ওই কেন্দ্রে সেটকোড-৩-এর প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও ভুলে পরীক্ষার্থীদের সরবরাহ করা হয় সেটকোড-১-এর প্রশ্নপত্র। পরীক্ষা প্রায় শেষের দিকে কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কাছে ভুলটি ধরা পড়লে তারা তড়িঘড়ি করে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ভুল প্রশ্নপত্র এবং উত্তরপত্র তুলে নিয়ে পুনরায় নির্ধারিত (সেটকোড-৩) কোডের প্রশ্ন সরবরাহ করে সময় বাড়িয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়।

পরপর একই বিষয়ে দু’বার দেয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। পরীক্ষা শেষে মো. আরিফুল ইসলাম নামে এক পরীক্ষার্থী বলেন, পরীক্ষা প্রায় শেষ। উত্তরপত্র জমা দেব, এই মুহূর্তে আমাদের উত্তরপত্র বাতিল করে নতুন করে প্রশ্নপত্র দিয়ে পুনরায় পরীক্ষা নিয়েছে দায়িত্বরত শিক্ষকরা।


তিনি বলেন, আমরা কিছুই বুঝতে পারলাম না। কেন একই বিষয়ে দিনে দু’বার আমাদের পরীক্ষা দিতে হলো। কেউ কেউ বলছে প্রথমবার ভালো পরীক্ষা দিয়েছি। দ্বিতীয়বার নতুন প্রশ্নে পরীক্ষা বেশি ভালো হয়নি। তাই রেজাল্ট আশানুরুপ হবে না।

পরীক্ষা কেন্দ্রের গেটে অপেক্ষারত একজন অভিভাবক মো. হানিফ মুন্সী বলেন, ‘আমার মেয়ের পরীক্ষা ১০টায় শুরু হয়ে সাড়ে ১১টায় শেষ হওয়ার কথা থাকলে সাড়ে ১২টা বেজে গেছে কিন্তু হল থেকে আমার মেয়ে বের হচ্ছে না। শুনলাম একই পরীক্ষা নাকি দুইবার নেয়া হচ্ছে।’

সুবিদখালী রোকেয়া খানম বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. গোলাম সরোয়ার বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানের ২৫ জন শিক্ষার্থী ওইদিন ওই বিষয়ে অংশ গ্রহণ করেছে। একই কেন্দ্রের অধীনে দু’টি ভেন্যু আর কে বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও সুবিদখালী রহমান ইসহাক পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এর মধ্যে একটি কেন্দ্রে ভুল কোডের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করার কারণে দুইবার পরীক্ষা দিতে হলো শিক্ষার্থীদের। এতে পরীক্ষার ফলাফলেও প্রভাব পড়বে।

কেন্দ্রের সচিব মো. আব্দুল জলিল বলেন, এসএসসি পরীক্ষায় ওইদিন বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা বিষয়ে সঠিক সময়ে সঠিক কোডেই পরীক্ষা শুরু হয়। তবে লিখিত (সৃজনশীল) পরীক্ষায় ভুলে সেটকোড-৩-এর পরিবর্তে সেটকোড-১-এর প্রশ্ন দেয়া হয়। কিন্তু কয়েক মিনিটের মধ্যেই আবার ভুলপ্রশ্ন এবং উত্তরপত্র তুলে নিয়ে সঠিক প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। এতে তেমন কোনো সমস্যা হয়নি।