শতাধিক নিয়োগে অনিয়ম সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে, তদন্তে ইউজিসি

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়

মেডিকেলের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে যাত্রার শুরুতেই নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে। উচ্চশিক্ষার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদিত পদের চেয়েও শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিয়ম ভেঙে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 

এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে আজ রবিবার (৭ নভেম্বর) একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ইউজিসি। কমিশনের সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের এই কমিটির সদস্যরা হলেন সচিব ফেরদৌস জামান ও উপ-পরিচালক মৌলি আজাদ (সদস্য সচিব)। 

অন্যদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, এই প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে ওঠা কয়েকটি অভিযোগ তারাও খতিয়ে দেখছে। 

দেশের চতুর্থ এই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা ২০১৮ সালে। এখনো শুরু হয়নি নিজস্ব ক্যাম্পাস নির্মাণের কাজ। শুরু হয়নি শিক্ষা কার্যক্রমও। এ অবস্থায় অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১৭৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী।

এই বিপুলসংখ্যক জনবলের বসার জায়গাও নেই অস্থায়ী কার্যালয়ে। এদের মধ্যে অনেককে অর্থের বিনিময়ে এবং স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্তদের মধ্যে উপাচার্য ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের নিকটাত্মীয় রয়েছে বলেও খবর বেরিয়েছে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার নঈমুল হক চৌধুরী দাবি করেন, যারা নিয়োগের সুযোগ পাননি, তারাই এসব অভিযোগ করছেন।

ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ইউজিসি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে প্রথম শ্রেণি থেকে চতুর্থ শ্রেণি মিলিয়ে রাজস্ব খাতে ১১৩টি পদে জনবল নিয়োগ দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। উন্মুক্ত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব পদে নিয়োগ দিতে বলে নির্দেশ দিয়েছিল ইউজিসি। এছাড়া ইউজিসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অস্থায়ী নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা আছে।

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত মোট ১৭৪ জনকে নিয়োগ দিয়েছে। এর মধ্যে ইউজিসির অনুমোদিত পদের বিপরীতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৬৪টি পদে। বাকি শতাধিক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অস্থায়ী ভিত্তিতে। আর এই অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দিতে গিয়েই অনিয়মগুলো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।