‘যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিই হয় বিসিএস দেয়ার জন্য’

মামুন
অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন

বিসিএস নিয়ে উন্মাদনা বেড়েই চলছে। তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ইঞ্জিনিয়ারিং, ডাক্তারি পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগই তাঁদের পেশার সঙ্গে জড়িত ক্যাডার পদ ছেড়ে পররাষ্ট্র, প্রশাসন ও পুলিশ এবং অনেকেই সাধারণ ক্যাডার পদে পদায়নের সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন, হচ্ছেন। কেন এই উন্মাদনা? বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন।

তিনি লিখেছেন, বিসিএসে কতজনের চাকুরী হয়? ১ থেকে ২ হাজার? অথচ লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী এর পেছনে ছুটছে। বিসিএস যেন The Pied Piper of Hamelin! সেই pied piper যেমন হেমিলন শহরের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক এই বিসিএসও এখন বাংলাদেশের অনার্স মাস্টার্স সার্টিফিকেটধারী সকল শিক্ষার্থীর আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিই হয় বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি হয়ে গেছে একমাত্র বিসিএস পড়ার জায়গা।

তার বক্তব্য, পৃথিবীতে এমন দেশ আরেকটিও খুঁজে পাওয়া যাবে না যেখানে সরকারি চাকুরী অর্থাৎ আমলা পুলিশ কিংবা ট্যাক্সের একটি চাকুরীর পেছনে এমনভাবে ছুটে। আমার ধারণা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে এইটা করা হচ্ছে। আমলারা যত ক্ষমতা দেখাবে, SUV গাড়িসহ নানা সুবিধা পাবে শিক্ষার্থীরা ততই এর পেছনে ছুটবে। সীমাহীন লোভই একমাত্র উদ্যেশ্য। বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে কিন্তু সহজে কেউ যেতে চায় না। সবাই পালের মত ছোটা কখনই ভালো লক্ষণ হতে পারেনা।