৬ মাসে ঢাবির ৩ শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা, একজনের লাশ উদ্ধার

ঢাবি
হাফিজুর রহমান, আদনান সাকিব, ইসরাত জাহান তুষ্টি, মাসুদ আল মাহাদী অপু

চলতি বছরের মে মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুর রহমানের রহস্যজনক মৃত্যু দিয়ে শুরু হয় এ বছরের হারানোর তালিকা। মৃত্যুর এক সপ্তাহের বেশি সময় পর হাফিজুরের মরদেহ শনাক্ত করে তার পরিবার। পরে পুলিশি তদন্তে জানা যায় হাফিজ এলএসডি নামে একটি মাদক নিয়ে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন। 

এরপর জুন মাসে আজিমপুর সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারের একটি বাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান তুষ্টির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার শ্বাসকষ্ট ও অ্যাজমা ছিল বলে জানা যায় অসুস্থতাজনিত কারণে তুষ্টি বাথরুমের ভেতরে পড়ে মারা যেতে পারে বলে তার সহপাঠীদের ধারণা।

আর সেপ্টেম্বরে চানখারপুলের একটি বাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী মাসুদ আল মাহাদী অপুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অপুর রুমমেটরা মনে করেন অপু আত্মহত্যা করেছিলেন। আর সর্বশেষ সেই তালিকায় যোগ হয়েছে গতকাল বুধবারে আত্মহত্যা করা মোঃ আদনান সাকিবের নাম। আদনান ঢাবির ২০১৪-১৫ সেশনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র ছিলেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচার একটি আবাসিক হোটেল থেকে বুধবার রাতে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। চাকরি না পাওয়ার আশঙ্কাজনিত হতাশায় আদনান আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা তার সহপাঠী ও পুলিশের।