বশেমুরবিপ্রবিতে আন্দোলন: যেমন ফি চান শিক্ষার্থীরা

বশেমুরবিপ্রবি
বশেমুরপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন

হল ফি, পরীক্ষা বিষয়ক ফি, এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ফি কমানোর দাবি প্রকাশ করে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা দিয়ে আন্দোলন করছেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যে আন্দোলনমঞ্চ থেকে শিক্ষার্থীরা বেশ কিছু ফি প্রস্তাব করেছেন।

সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবনাসমূহের মধ্যে রয়েছে বেতন ৬০০ টাকা, কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতি ফি ২০ টাকা, ছাত্র কল্যাণ ফি ৫০ টাকা, আইডি কার্ড ৫০ টাকা, চিকিৎসা ফি ৫০ টাকা, পরিবহন ফি ৩০০ টাকা, রোভার স্কাউট ২০ টাকা, বি.এন.সি.সি ২০ টাকা, সিলেবাস ৫০ টাকা, হল বিষয়ক সংস্থাপন ফি ৭৫ টাকা, সিট ভাড়া ৭৫ টাকা, পরীক্ষা বিষয়ক ফি প্রতি ক্রেডিট ৫০ টাকা ও প্রবেশপত্র ৫ টাকা করা এবং কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ফি, স্টুডেন্ট গাইড ও কাউন্সিলিং ফি, বিভাগ উন্নয়ন ফি এবং পরীক্ষার কেন্দ্র ফি বাতিল করা।

এদিকে, সম্প্রতি বিভিন্ন ফি সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে যেখানে বেতন ১২০০ টাকা, কেন্দ্রীয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতি ফি ২০০ টাকা, ছাত্র কল্যাণ ফি ১৫০ টাকা, আইডি কার্ড ৪০০ টাকা, চিকিৎসা ফি ২০০ টাকা, পরিবহন ফি ৬০০ টাকা, রোভার স্কাউট ৫০ টাকা, বি.এন.সি.সি ৫০ টাকা, সিলেবাস ১৫০ টাকা, পরীক্ষা বিষয়ক ফি প্রতি ক্রেডিট ১০০ টাকা, পরীক্ষার কেন্দ্র ফি ২০০ টাকা, প্রবেশপত্র ২৫ টাকা, হল বিষয়ক সংস্থাপন ফি ১৫০ টাকা, সিট ভাড়া ১৫০ টাকা, এবং কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ফি ২০০ টাকা, স্টুডেন্ট গাইড ও কাউন্সিলিং ফি ২০০ টাকা নির্ধারিত করা হয়েছিলো। তবে প্রকাশিত এই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি আজ স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.রাজিউর রহমান বলেন, ‘আগামীকাল সকাল ১১ টার পরে উপাচার্য স্যার ফি সংক্রান্ত বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করবেন।’

বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড.এ.কিউ.এম মাহবুব বলেন, ‘আমরা করোনাকালের পরিবহন ফি এবং হল ফি সম্পূর্ণ মওকুফ করেছি। এছাড়া আরও কিছু ফি কমিয়েছি। এরপরও শিক্ষার্থীদের কোনো দাবি থাকলে আমি সেগুলোও শুনবো। ছাত্ররা ব্যবহার করেনি এমন ফি নেয়া হবে না। তাদের দাবি থাকলে আমাকে জানাবে এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে।’

প্রসঙ্গত, সাবেক উপাচার্য খোন্দকার নাসিরুদ্দিন পদত্যাগের পূর্বে শিক্ষার্থীদের ১৪ দফা দাবি মেনে নেন। সেই দাবিগুলোর মধ্যে বর্ধিত ফি কমানোর কথা থাকলেও এখনো কমেনি। করোনা পরবর্তী সময়ে বর্ধিত ফি কমানোর জন্যে শিক্ষার্থীরা প্রশাসন বরাবর স্মারকলিপি জমা দিলেও সেটা সম্পূর্ণ অগ্রাহ্য করে গত রবিবার ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।