শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের জন্মবার্ষিকী আজ

জন্মবার্ষিকী
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের জন্মবার্ষিকী আজ

বাঙালি জাতীয়তাবাদের অন্যতম প্রবক্তা ও উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ শেরেবাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হকের ১৪৮তম জন্মবার্ষিকী আজ। এই অবিসংবাদিত জাতীয় নেতা ১৮৭৩ সালের ২৬ অক্টোবর বরিশাল জেলার রাজাপুর থানার সাতুরিয়া গ্রামে মামার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।

তিনি ছিলেন কাজী মুহম্মদ ওয়াজেদ ও সাইদুন্নেসা খাতুনের একমাত্র পুত্র। রাজনৈতিক মহল এবং সাধারণ মানুষের কাছে তিনি ‘শেরেবাংলা’ বা ‘বাংলার বাঘ’ এবং ‘হক সাহেব’ নামে সমধিক পরিচিত ছিলেন।

শেরেবাংলার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। পৃথক বাণীতে তারা মহান এই নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

এ ছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ ও শেরেবাংলা জাতীয় স্মৃতি সংসদসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন আজ নানা কর্মসূচি নিয়েছে। এর মধ্যে আছে- শের বাংলার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং কোরআনখানি।

ফজলুল হক ১৯৪০ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সভাপতিত্বে লাহোরে অনুষ্ঠিত নিখিল ভারত মুসলিম লীগের অধিবেশনে জ্বালাময়ী বক্তৃতায় তিনিই সর্বপ্রথম পাকিস্তান প্রস্তাব পেশ করেন। তাঁর বক্তৃতায় মুগ্ধ হয়ে পাঞ্জাববাসী তাঁকে উপাধি দেয় ‘শের-ই-বঙ্গাল’ অর্থাৎ বাংলার বাঘ। সেই থেকে তিনি ‘শেরেবাংলা’ নামে পরিচিতি পান।

বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে তিনি পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র্রমন্ত্রী, পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর, যুক্তফ্রন্ট সরকারের মুখ্যমন্ত্রী, অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, কলকাতা সিটি করপোরেশনের প্রথম মুসলিম মেয়র এবং আইন সভার সদস্যসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল একে ফজলুক হক ৮৮ বছর বয়সে মৃত্যু বরণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। একই স্থানে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও খাজা নাজিমুদ্দিনের কবর রয়েছে। তাদের তিনজনের সমাধিস্থলই ঐতিহাসিক তিন নেতার মাজার নামে পরিচিত।

এদিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সর্বস্তরে শেরেবাংলার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালনের আহ্বান জানিয়েছে বরিশাল বিভাগ সমিতি। গতকাল সমিতির সভাপতি ইতিহাসবিদ সিরাজউদ্দীন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক এমএ জলিল এই আহ্বান জানান।