মুশফিক-নাঈমের জোড়া হাফ সেঞ্চুরিতে ১৭২ রানের টার্গেট

ক্রিকেট

সুপার টুয়েলভ পর্বের প্রথম ম্যাচে মুশফিকুর রহিম ও নাঈম শেখের ফিফটিতে ভর করে শ্রীলঙ্কাকে ১৭২ রানের টার্গেট দিল বাংলাদেশ। মুশফিকুর রহিমের ৫৭ ও নাঈম শেখের ৬২ রানে ভর করে ৪ উইকেটে ১৭১ রান করে টাইগাররা।

নাঈম ৫২ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৬২ করে আউট হলেও মুশফিক ৩৭ বলে ৫৭ রানেশেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানের হার না মানা ইনিংসটি সাজানো ৫ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায়।

খবর > ক্রিকেট > টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ২০২১


শ্রীলঙ্কাকে ১৭২ তাড়ার চ্যালেঞ্জ দিল বাংলাদেশ
  আরিফুল ইসলাম রনি,  বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 24 Oct 2021 03:19 PM BdST Updated: 24 Oct 2021 05:47 PM BdST


ফাইল ছবি

 

PreviousNext
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের প্রথম ম্যাচে লড়ছে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা।

 


রান আউট আফিফ

দ্রুত একটি রান চুরি করার চেষ্টায় পারলেন না আফিফ। বরং ক্রিজে ফেরার চেষ্টায় হয়ে গেলেন রান আউট। বোলিং করে ফলো ঘ্রুরর পর দ্রুত ছুটে গিয়ে নিজের বলেই দারুণ ফিল্ডিংয়ে সরাসরি থ্রোয়ে বল স্টাম্পে লাগালেন লাহিরু কুমারা।

৬ বলে ৭ করে আউট আফিফ। বাংলাদেশ ১৮.৩ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫০।

মুশফিকের ফিফটি

দুঃসময়ের প্রহর পেরিয়ে অবশেষে নিজেকে ফিরে পেলেন মুশফিকুর রহিম। দারুণ সব শটের পসরা সাজিয়ে ফিফটি স্পর্শ করলেন ৩২ বলে। ইনিংসে চার ৪টি, ছক্কা ২টি।

১১ ইনিংসের খরার পর এলো তার এই ফিফটি। সবশেষ ২৮ ইনিংসে এটি তার কেবল দ্বিতীয় ফিফটি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ২৪ ইনিংস খেলে তার প্রথম ফিফটি এটি।

নাঈমের বিদায়

নতুন স্পেলে বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই শ্রীলঙ্কাকে কাঙ্ক্ষিত ব্রেক থ্রু এনে দিলেন বিনুরা ফার্নান্দো। ৬ চারে ৫২ বলে ৬২ রানের ইনিংস খেলে আউট হলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ।

দীর্ঘদেহী এই বাঁহাতি পেসার বলটি ঠুকে দেন উইকেটে দেন উইকটে। পিচ করে একটু বল একটু থমকে আসে। নাঈম পুল করলেও গড়বড় করেন টাইমিংয়ে। নিজের বলে ক্যাচ নেন বিনুরা।

১৬.১ ওভারে বাংলাদেশের রান ৩ উইকেটে ১২৯।

জুটির ফিফটি

অল্প সময়ের মধ্যে লিটন ও সাকিবের বিদায়ের পর যেমন দরকার ছিল, তেমনই একটি জুটি গড়লেন নাঈম ও মুশফিক। চতুর্থ উইকেটে দুজনের জুটি পঞ্চাশ ছুঁয়ে ফেলল ৩৮ বলে।

৫১ রানের জুটিতে মুশফিকের রান ১৭ বলে ২৪, নাঈমের ২১ বলে ২৭।

বাংলাদেশের একশ

নাঈমের ফিফটি ছোঁয়ার বাউন্ডারিতেই বাংলাদেশ পেরিয়ে যায় শতরান। ১৩.৪ ওভারে বাংলাদেশের রান স্পর্শ করে তিন অঙ্ক।

 


নাঈমের পঞ্চাশ

নিজের মতো খেলে, নিজের গতিতে নাঈম পা রাখলেন আরেকটি ফিফটিতে। কুমারাকে মাথার ওপর দিয়ে চার মেরে ফিফটি পূর্ণ করেন ৪৪ বলে, চারটি চারে।

টি-টোয়েন্টিতে ২৫ ম্যাচে তার চতুর্থ ফিফটি এটি, চলতি বিশ্বকাপে তিন ম্যাচে দ্বিতীয়। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফিফটি করলেন নিজের প্রথম ম্যাচেই।

৪৬ রানে অবশ্য তিনি আউট হতে পারতেন। তবে সরাসরি থ্রোয়ে বণ স্টাম্পে লাগাতে পারেননি আভিশকা ফার্নান্দো।

ইনিংসের মাঝামাঝি

লিটন ও সাকিবের আউটের পর জুটি গড়ার চেষ্টা করছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও লিটন কুমার দাস। ১০ ওভার শেষে রান ২ উইকেটে ৭২। নাঈম খেলছেন ৩৪ বলে ৪০ রান নিয়ে, মুশফিক ৫ বলে ৪।

এবার পারলেন না সাকিব

আগের দুই ম্যাচে দলের জয়ে ব্যাট হাতে বড় অবদান রাখার পর এবার পারলেন না সাকিব। আউট হয়ে গেলেন তিনি ৭ বলে ১০ করে।

উইকেটে যাওয়ার পরপরই দুটি চার মারেন সাকিব। তবে দারুণ শুরুটা পারলেন না ধরে রাখতে। চামিকা করুনারত্নের বলটি ছিল দারুণ লেংথে। সাকিব ফ্লিক আর পুল শটের মাঝামাঝি কিছু করতে চেষ্টা করেন। তবে বলটি তত শর্ট ছিল না। বল স্কিড করে উড়িয়ে দেয় বেলস। উল্লাসে মেতে ওঠেন করুনারত্নে।

৭.৪ ওভারে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ৫৬।

বাংলাদেশের পঞ্চাশ

পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর হঠাৎ বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে দেখা গেল বেশ ‘পাওয়ার।’ অনিয়মিত বোলার চারিথ আসালাঙ্কার এত ওভারে দুটি চার মারেন সাকিব, একটি নাঈম। ৬.৩ ওভারে নাঈমের বাউন্ডারিতে বাংলাদেশের রান স্পর্শ করে ফিফটি। এই ওভার থেকে আসে ১৪ রান।

পাওয়ার প্লে শেষে

 পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে এসে লিটনকে হারানোর ধাক্কা, নইলে শুরুটা খারাপ নয় বাংলাদেশের। ৬ ওভারে দলের রান ১ উইকেটে ৪১।

আউটের পর উত্তেজনা

লিটনের আউটের পর মাঠে ছড়ায় উত্তেজনা। উইকেটেই মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কথার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়তে দেখা যায় লিটন ও বোলার লাহিরু কুমারাকে। দুজনের শরীরী ভাষাও ছিল বেশ আক্রমণাত্মক। শেষ পর্যন্ত আম্পায়ার এসে তাদেরকে আলাদা করেন। কুমারাকে টেনে নিয়ে যান লঙ্কান ফিল্ডাররা।

লিটনের বিদায়

বিশ্বকাপে প্রথমবার উইকেটবিহীন পাওয়ার প্লে কাটানোর কাছাকাছি গিয়েও পারল না বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বিদায় নিলেন লিটন দাস।

লাহিরু কুমারার বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে জায়গা বানিয়ে লফটেড অফ ড্রাইভ খেলেন লিটন। কিন্তু বলের নিচে যেতে পারেননি। তাই মিড অফ ফিল্ডারের নাগালের বাইরে রাখতে পারেননি বল। মারে ছিল না তেমন জোর। একটু লাফিয়ে ক্যাচ নেন লঙ্কান অধিনায়ক দাসুন শানাকা।

১৬ বলে ১৬ রান করে আউট হলেন লিটন। ৫.৫ ওভারে বাংলাদেশের রান ১ উইকেটে ৪০। আগের তিন ম্যাচে তার রান ছিল ৫, ৬ ও ২৯।

সতর্ক শুরু বাংলাদেশের

প্রথম চার ওভারে দলের চার পেসারকে ব্যবহার করেছে শ্রীলঙ্কা। তবে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে করতে পারেনি তারা। রানের গতি খুব বেশি না হলেও বাংলাদেশকে স্বস্তির শুরু এনে দিয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও লিটন দাস।

৪ ওভারে বাংলাদেশের রান । চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সেরা উদ্বোধনী জুটি এটিই। প্রথম পর্বের তিন ম্যাচে শুরুর জুটির সর্বোচ্চ রান ছিল ১১।

দুটি বাউন্ডারিতে নাঈম খেলছেন ১৫ বলে ১৮ রানে, লিটন এক বাউন্ডারিতে ১১ বলে ৯।

স্পিনারের জায়গায় পেসার

মাহিশ থিকশানাকে নিয়ে যে শঙ্কা ছিল শ্রীলঙ্কার, সেটিই সত্যি হলো। সাইড স্ট্রেইনের কারণে খেলতে পারছেন না আগের তিন ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করা এই রহস্য স্পিনার। তার জায়গায় শ্রীলঙ্কার পছন্দ বেশ কৌতূহল জাগানিয়া। বাংলাদেশ পেসার কমিয়ে স্পিনার বাড়ালেও শ্রীলঙ্কা স্পিনারের বদলে একাদশে এনেছে বাঁহাতি পেসার বিনুরা ফার্নান্দোকে। এখনও পর্যন্ত ৪ টি-টোয়েন্টি খেলে বিনুরার উইকেট ৫টি।

বাংলাদেশ একাদশ: মোহাম্মদ নাঈম শেখ, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, শেখ মেহেদি হাসান, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান, নাসুম আহমেদ।

শ্রীলঙ্কা একাদশ: পাথুম নিসানকা, কুসাল পেরেরা, চারিথ আসালাঙ্কা, আভিশকা ফার্নান্দো, দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), ভানুকা রাজাপাকসা, ভানিন্দু হাসারাঙ্গা, চামিকা করুনারত্নে, দুশমন্থ চামিরা, লাহিরু কুমারা, বিনুরা ফার্নান্দো।