গুচ্ছ ‘ক’ ইউনিটের ফলে অসঙ্গতির অভিযোগ, পুননিরীক্ষার দাবি

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা
পরীক্ষার্থী

গুচ্ছভুক্ত ২০টি সাধারণ ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের 'ক' ইউনিটের ফল প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেল ৫টায় ফল প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত ফলাফলে নানা অসঙ্গতির অভিযোগ তুলে ফল পুননিরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন ভর্তিচ্ছুদের বড় একটি অংশ।

'ক' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পরীক্ষা শেষে পাঠ্যবই, নোটসহ বিভিন্ন কোচিং সেন্টারের উত্তর মিলিয়ে যে নম্বর পাওয়ার কথা ছিল তার চেয়ে অনেক কম নম্বর পেয়েছেন তারা। এছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে ঘড়ি না থাকা, ওএমআর শিটে পরীক্ষার হলে দায়িত্বরত কর্মকর্তার স্বাক্ষর না করারও অভিযোগ তুলেছেন ভর্তিচ্ছুরা।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, ফল তৈরিতে টেকনিক্যাল কমিটির কোনো ভুল হয়েছে। কেননা অনেকে পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান অংশের উত্তর ভরাট করার পরও প্রাপ্ত ফলাফলে কিছুই দেখাচ্ছে না। ভুল হলে নেগেটিভ নম্বর দেয়ার কথা, তবে ফল প্রকাশের পর অনেকের বিষয়ভিত্তিক নম্বরের ঘর ফাঁকা দেখাচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ফলাফল পুননিরীক্ষার করা হোক।

এ প্রসঙ্গে মুমতারিন আহমেদ প্রমা বলেন, ভর্তি পরীক্ষা শেষে মূল বই এবং কোচিং সেন্টারের বড় ভাইদের সমাধান দেখে যে নম্বর আশা করেছিলাম, পেয়েছি তার চেয়ে ২০ নম্বর কম। যা কোনো ভাবেই বিশ্বাস যোগ্য না। আমার পরীক্ষা ভালো হয়েছে। আমি ফল পুননিরীক্ষার দাবি জানাচ্ছি। ফল সঠিকভাবে পুননিরীক্ষা করা হলে আমার নম্বর আরও বাড়বে।

পার্থ কর্মকার নামে এক শিক্ষার্থী জানান, ক ইউনিটের প্রশ্ন অনেক কঠিন হয়েছিল। সেজন্য খুব সতর্কতার সাথে বৃত্ত ভরাট করেছিলাম। পরীক্ষা মোটামুটি ভালোই হয়েছে। তবে যে নম্বর পাওয়ার কথা ছিল, তারচেয়ে অনেক কম নম্বর পেয়েছি। যা হওয়ার কথা ছিল না। টেকনিক্যাল কমিটির কোনো গাফিলতির কারণেই এমনটি হয়েছে। ফল পুননিরীক্ষা করা হোক।

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. রিয়াজ জানান, আমার চাচতো বোনের ভর্তি পরীক্ষা অনেক ভালো হয়েছে।  প্রশ্নের উত্তর মেলানোর সব দেখা গেছে সে কোনোভাবেই ৬৫ এর নিচে পাবে না। অথচা তার রেজাল্ট 'এরোর' দেখাচ্ছে। ফলাফলে বলা হয়েছে রোল ওভাররাইটিংয়ের কারণে ফল 'এরোর' আসছে। 

শিফাত-ই-জান্নাত সিন্থি নামে আরেক ভর্তিচ্ছু অভিযোগ করে বলেন, গুচ্ছ কমিটি যে প্রশ্ন করেছে তার উত্তর মিলিয়ে দেখার পর অনেক নম্বর পাই। অথচ প্রকাশিত ফলাফলে আমার কাঙ্খিত নম্বরের আশেপাশেও নম্বর পাইনি। এটা শুধু আমার একার হয়েছে তা নয়; অনেক শিক্ষার্থীর ফলে একই সমস্যা দেখা গেছে। তাই ফল পুননিরীক্ষা করার দাবি জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গ, গত ১৭ অক্টোবর গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা দুইদিন পর গতকাল ফল প্রকাশ করে টেকনিক্যাল কমিটি। ক ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন অনিক সাহা। তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৫।