৪৩তম বিসিএস প্রিলি পরীক্ষায় ১৪ দফা নির্দেশনা পিএসসির

৪৩তম বিসিএস প্রিলি পরীক্ষায় ১৪ দফা নির্দেশনা পিএসসির
৪৩তম বিসিএস প্রিলি পরীক্ষায় ১৪ দফা নির্দেশনা পিএসসির

আমাগী ২৯ অক্টোবর (শুক্রবার) ৪৩তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় শুরু হয়ে এই পরীক্ষা চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এজন্য আসনবিন্যাস প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

সোমবার (১৮ অক্টোবর) পিএসসির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ক্যাডার) নূর আহমেদ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ আসনবিন্যাস প্রকাশ করা হয়। এতে প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বেশকিছু নির্দেশনা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

পরীক্ষা সংক্রান্ত নির্দেশনাগুলো হলো-

১. প্রার্থীদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৮ (আট) ডিজিট। রেজিস্ট্রেশন নম্বরের ডিজিটসমূহ (সংখ্যাসমূহ) উত্তরপত্রের প্রযোজ্য ঘরে কালো কালির বল পয়েন্ট কলম দিয়ে লিখে বৃত্ত ভরাট করতে হবে।

২. প্রতিটি উত্তরপত্রে সেট নম্বরের নির্ধারিত স্থানে সেট নম্বর এবং সেট নম্বরের জন্য নিচের সংশ্লিষ্ট বৃত্তটি থাকবে। প্রার্থীদের উত্তরপত্রে সেট নম্বর লেখা এবং সেট নম্বরের বৃত্ত ভরাট করার প্রয়োজন হবে না। সকাল ১০টায় প্রশ্ন পত্র প্রাপ্তির পর প্রার্থী তার প্রশ্নপত্রের সেট নম্বর এবং উত্তরপত্রের সেট নম্বর অভিন্ন কিনা তা চেক করে নিশ্চিত হবেন। এবং উত্তরপত্রের সেট নম্বর অভিন্ন না হলে সঙ্গে সঙ্গে পরিদর্শককে জানাবে।

পড়ুন: ৪৩তম বিসিএসের প্রিলির আসন বিন্যাস প্রকাশ

৩. প্রশ্নপত্র দেওয়ার পর (সকাল ১০টা) কোন প্রার্থীকে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না। প্রশ্নপত্র নেওয়ার পর পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত (দুপুর ১২টা পর্যন্ত) কোন প্রার্থী পরীক্ষা কক্ষ ত্যাগ করতে পারবেন না।

৪. কোন প্রার্থীর ছবি, স্বাক্ষর, প্রবেশপত্র এবং উত্তরপত্রের নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের গড়মিলসহ কোনরূপ অনিয়ম ধরা পড়লে উক্ত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৫. পরীক্ষা কেন্দ্রে বই-পুস্তক, সকল প্রকার ঘড়ি, মোবাইল ফোন, ক্যালকুলেটর, সকল ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যাংক কার্ড/ক্রেডিট কার্ড সদৃশ কোন ডিভাইস, গহনা ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

৬. পরীক্ষা হলের গেটে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধ সামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের পরীক্ষা হলে প্রবেশ করতে হবে।

৭. পরীক্ষার সময় প্রার্থীরা কানের ওপর কোন আবরণ রাখবেন না, কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শপত্রসহ কমিশনের অনুমোদন গ্রহণ করতে হবে।

৮. প্রার্থীদের কেন্দ্র পরিবর্তনের কোনো আবেদন বিবেচনা করা হবে না।

৯. প্রার্থীর আবেদনপত্রে গুরুতর ত্রুটি ধরা পড়লে পরীক্ষার আগে বা পরে যে কোনো পর্যায়ে উক্ত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হবে।

১০. ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২০ এর প্রিলিমিনারি টেস্টের ওএমআর উত্তরপত্রের ২টি অংশ থাকবে। প্রথম অংশে প্রার্থীর নাম, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, সেট নম্বর এবং স্বাক্ষরের স্থান থাকবে। দ্বিতীয় অংশে ২০০টি উত্তর প্রদানের জন্য ১-২০০ পর্যন্ত ক্রম অনুযায়ী বৃত্তসমূহ থাকবে।

১১. প্রার্থীদের বিশেষভাবে সতর্ক করা হলো যে, উত্তরপত্রে রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঠিকভাবে না লিখলে এবং ঠিকভাবে বৃত্ত পূরণ না করলে, কোনরূপ কাটাকাটি করলে, উত্তরপত্রে ফ্লুইড লাগালে, কোনরূপ সাংকেতিক চিহ্ন প্রদান করলে ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষা-২০২০ এর বিজ্ঞপ্তির ২৩.২ নম্বর অনুচ্ছেদের শর্তানুযায়ী ৪৩তম বি.সি.এস. পরীক্ষার প্রার্থিতা বাতিল হবে।

১২. এ পরীক্ষায় মোট ২০০টি এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে। প্রার্থী প্রতিটি শুদ্ধ উত্তরের জন্য ০১ (এক) নম্বর পাবেন তবে ভুল উত্তর দিলে প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য মোট প্রাপ্ত নম্বর থেকে ০.৫০ [শূন্য দশমিক পাঁচ শূন্য] নম্বর করে কাটা হবে। পরীক্ষার জন্য পূর্ণ সময় ২ (দুই) ঘণ্টা।

১৩. প্রতিবন্ধী প্রার্থীর শ্রুতিলেখক প্রয়োজন হলে প্রার্থীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন থেকে শ্রুতিলেখক নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে। কমিশনের মনোনীত শ্রুতিলেখক ছাড়া অন্য কাউকে শ্রুতিলেখক হিসেবে পরীক্ষার হলে আনা হলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। শ্রুতিলেখকদের ক্ষেত্রে প্রতি ঘন্টার পরীক্ষার জন্য ১০ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেয়া হবে।

১৪. প্রবেশপত্র ব্যতীত কোন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। কোন প্রার্থীর প্রবেশপত্র হারিয়ে গেলে/চুরি বা নষ্ট হয়ে গেলে এবং ইউজার আইডি/পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে কমিশনের ওয়েবসাইটের সংশ্লিষ্ট হোম পেজের প্রবেশপত্র মেনুতে ক্লিক করলে ইউজার রিকোভেরি অপশন দেখা যাবে। উক্ত অপশনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাবমিট করলে প্রয়োজনীয় এবং কাঙ্ক্ষিত তথ্যাবলি পাওয়া যাবে এবং প্রবেশপত্র ডাউনলোড করে প্রিন্ট করা যাবে।