কলেজছাত্রকে তুলে নিয়ে বিয়ের ঘটনায় মামলা

কলেজছাত্রকে তুলে নিয়ে বিয়ের ঘটনায় মামলা
কলেজছাত্রকে তুলে নিয়ে বিয়ের ঘটনায় মামলা

পটুয়াখালী সরকারি কলেজের ছাত্র নাজমুল আকনকে (২৩) তুলে নিয়ে বিয়ে করার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় এক নারীসহ অজ্ঞাত ৬-৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত ৩ অক্টোবর ভুক্তভোগী বাদী হয়ে জেলার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার সাথে বিয়ে করার একটি ভিডিও ক্লিপ আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। পরে বিজ্ঞ বিচারক মামলাটি নথিভুক্ত করতে পটুয়াখালী সদর থানাকে নির্দেশ দেন। এ ব্যাপারে তরুণী ইশরাত জাহান পাখি বা তার পরিবারের পক্ষ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কলেজছাত্র নাজমুল আকনকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন একই উপজেলার তরুণী ইশরাত জাহান পাখি। কিন্তু এই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যায় ঐ তরুণীর সাঙ্গ-পাঙ্গরা। এরপর জোরপূর্বক তাকে বিয়েও করেন ওই তরুণী।

ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালী জেলার লঞ্চঘাট এলাকায়। ভুক্তভোগী কলেজছাত্র নাজমুল জেলার মির্জাপুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের জালাল আকনের ছেলে। আর অভিযুক্ত তরুণী ইশরাত জাহান পাখি একই উপজেলার গাজিপুর গ্রামের মো. আউয়াল মিয়ার মেয়ে।

মামলার বাদী নাজমুল আকনের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল নোমান জানান, নাজমুল পটুয়াখালী সরকারি কলেজের আবাসিক হোস্টেলে থেকে লেখাপড়া করেন। দীর্ঘদিন ধরে পাখি নাজমুলকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।

তিনি বলেন, নাজমুল এতে রাজি না হওয়ায় গত ২৭ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী লঞ্চঘাট এলাকা থেকে সাত থেকে আটজন অপরিচিত লোক নাজমুলকে অপহরণ করে অজ্ঞাত একটি স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে জোরপূর্বক একটি নীল কাগজে সই করতে বাধ্য করে। ধারণা করা হচ্ছে ওই কাগজ দিয়ে তারা একটি কাবিননামা তৈরির পায়তারা করছেন।

পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, রোববার বিকালেই আদালতের নির্দেশে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। একজন অফিসারকে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি জানান, এরইমধ্যে সেই তদন্তকারী অফিসার মির্জাগঞ্জে তদন্ত কাজ শুরু করেছেন।