খেলোয়াড়ের নাম হ্যারি পটার, লাল কার্ড দেখালেন রেফারি

হ্যারি পটার নাম রাখায় যা ঘটলো ফুটবলারের জীবনে
হ্যারি পটার(১৯৯৭) হাতে হ্যারি পটার

হ্যারি পটার (৩৩), জন্মেছিলেন যুক্তরাজ্যের হ্যাম্পশায়ারে। ১৯৯৭ সালে তার বয়স যখন আট, তখন ব্রিটিশ লেখিকা জেইকে রাওলিং তার ব্লকবাস্টার উপন্যাস ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্যা ফিলোসফার স্টন্স’ বাজারে ছাড়েন। আর এতেই ‍ বিড়ম্বনায় পড়া শুরু যুবক হ্যারি পটারের। 

তখন থেকেই নিজের আসল পরিচয়টা তুলে ধরা ছিল রীতিমত এক যুদ্ধের শামীল। তিনিও যে হ্যারি পটার — মানুষকে এটা বিশ্বাস করাতে অনেক সময় ব্যয় করতে হয়েছিল তাকে।

হ্যারি পটার বলেন, ‘আমি ফুটবলার ছিলাম। একবার রেফারি আমার নাম জানতে চাইলে আমি আমার নাম হ্যারি পটারই বলি। আর এতে রেফারি ক্ষুব্ধ হয়ে আমাকে লাল কার্ড দিয়ে দেন।’

তবে বিড়ম্বনায় পড়ার বিপরীতে জনপ্রিয়তাসহ সন্তোষজনক কিছু অর্জনও করেন যুবক হ্যারি পটার। তবে এর পেছনে হ্যারি পটারের বাবারও অবদান আছে।

জানা যায়, প্রথম মুদ্রণে মাত্র ‍৫০০ কপি ছাপা হয়েছিল বইটির। আস্তে আস্তে উপন্যাসটি সারা পৃথিবীতে ব্যাপক সমাদৃত হতে থাকে। সন্তানের নামে বই দেখে কৌতূহলের বশে এক কপি কিনে নিয়ে আসেন হ্যারি পটারের বাবা এবং বইটি নিজ সন্তানের হাতে তুলে দেন। বইটি সযত্নে রেখে দেওয়া হয়—যা বিক্রি করে এ বছর হ্যারি আয় করেন প্রায় আড়াই লক্ষ্য টাকা (২৭,০০ ইএস ডলার)। 

হ্যারির বোন কেটি সাইন বলেন, আমার মনে আছে— বাবা সামনের দরজায় বসে একটা বই ভাঁজ করে হাসতে হাসতে আমাকে বলেছিলেন, ‘আমি এমন এক জিনিস পেয়েছি, যা তুমি বিশ্বাস করবা না।’

হ্যারি পটার ১৯৯৭ সালের কপি

সূত্র: বিবিসি